সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের ক্ষত সারিয়ে দেশকে সঠিক পথে নিতে আগে সংস্কার জরুরি, তারপর নির্বাচন। যদিও গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখে নির্ধারণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে, তার কোনো সময়সীমা তার কাছে নেই। যে কয়েকটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা সামনের মাসগুলোতে সংস্কার সুপারিশ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপর নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে দাঁড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তার নেই। তিনি সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি নির্বাচনে লড়ব?
এ সময় পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অপরাধ করে থাকলে তাকে (শেখ হাসিনা) ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :