আনিস তপন : সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস ও লার্ভিসাইড স্প্রে করা হয়েছে ৯ হাজার ১ শত ৬টি স্থানে। সারাদেশে ১৮ হাজার ৭ শত ৩৩টি স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন করা স্থানগুলোর মধ্যে ৫ শত ৮টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবং ৭৪ টি পৌরসভায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মশক নিধন অভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল সিটি কর্পোরেশন এবং ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভায় কাজ করছে ২ হাজার ৬ শত ৮৯ জন মশক কর্মী।
মশক কর্মীগণ জানান, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের এক জরুরি সভায় ১০টি টিম গঠন করা হয়। যারা ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য পৌরসভায় মশক নিধন অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড়ভাবে তদারকি করছে।
ড্রাম ভাঙ্গা পাত্র, নির্মানাধীন ভবন, ফুলের টব ও লিফ্টের গর্তে জমে থাকা পানি পাওয়ার কারণে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে মামলা হয়েছে ৫টি ও জরিমানা হয়েছে ০৫টি।
এছাড়া ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ৮টি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৪১টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫টি সতর্কীকরণ নোটিশ জারি করা হয়।
এছাড়া ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, লিফলেট ও পোষ্টার বিতরণ করা হয়েছে।