শিরোনাম
◈ দীর্ঘ এক যুগ পর ২৪ দফা দাবি নিয়ে চবি শিবিরের আত্মপ্রকাশ ◈ দেশের বাজারে আরো বাড়ল সোনার দাম , কাল থেকে কার্যকর ◈ সরকার আমিরাতে সাজা পাওয়া প্রবাসীদের পুনর্বাসন করবে : আসিফ নজরুল ◈ বজ্রপাতে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৯ ◈ আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করায় ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ সদস্য আটক ◈ কলকাতার রাস্তায় যাত্রী নিয়ে আর ছুটবে না ১৫০ বছর ধরে চলা ট্রাম ◈ লন্ডনের পর এবার নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার বিএনপি নেতা জুম খোকন ◈ ‘আ. লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে না; গুম-খুন-দুর্নীতির বিচার হলে আ. লীগের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে’ ◈ সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জামায়াতের ◈ আন্দোলনে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করলো সরকার

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:১২ বিকাল
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের এই পরিস্থিতির জন্য যে ৫ নেতাকে দুষলেন সালমান এফ রহমান

আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতার জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে তিনি এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।

ওই ৫ নেতা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সংশ্লিষ্ট ডিবি সূত্রে জানা যায়, সালমান এফ রহমান ডিবিকে জানিয়েছেন ৫ জন নেতার জন্য দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এ পরিণতির জন্য শেখ হাসিনা নিজেই দায়ী।

সালমান বলেছেন, ‘আমি যেহেতু ব্যবসায়ী, তাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমার বেশি বৈঠক হতো। ওইসব বৈঠক থেকে দেশের অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে তারা চাপ দিত। আমি ওই চাপের কথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করতাম। কিন্তু তিনি পাত্তা দিতেন না। রুদ্ধদ্বার বৈঠকগুলোতে আমাকে রাখতেন না।’

কারফিউ ঘোষণার দিন ওবায়দুল কাদেরের ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’-এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে এটা বলার সুযোগ নেই। তিনি কেন এ ধরনের কথা বলেছেন তার ব্যাখ্যা তিনি নিজেই দিতে পারবেন।’

যুক্তরাষ্ট্র কানেকশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ডিবিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমার কোনো বিশেষ কানেকশন ছিল না। তারা আমাদের দেশে অনেক বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু টাকা নিতে পারছিল না। এ কারণে তারা মাঝেমধ্যে আমাকে নক করতো।’

যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন কেন বারবার এসে আপনার সঙ্গে বৈঠক করতো? জানতে চাইলে সালমান এফ রহমান ডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলেন, বৈঠকগুলো ছিল মূলত অর্থনৈতিক বিষয়ে। ডলার সংকটসহ নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের মুনাফা দিতে পারছিলাম না। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলতাম না।’

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হন। বিভিন্ন মামলায় ডিবি হেফাজতে রিমান্ড শেষে ইতিমধ্যেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে ডিবি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকেই বলেছেন, তারা শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বারবার সতর্ক করেছেন। বলেছেন, যা হচ্ছে তা ভালো হচ্ছে না। কিন্তু তারা কোনো উপদেশই শোনেননি। শেখ হাসিনা ছিলেন একরোখা। ডিবি জানায়, জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে অন্যরা যেসব অভিযোগ তুলেছেন সেসব ডিবি হেফাজতেই অস্বীকার করেছেন পলক।

পলক ডিবিকে জানিয়েছে, অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনাসহ অন্য নেতারা তাকে পদত্যাগ করতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক তাকে গালিগালাজ করেছেন। বলেছেন, এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভার কেউ পদত্যাগ করলে সরকারের ওপর চাপ বাড়বে। ওবায়দুল কাদের তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। শেখ হাসিনার সামনে পলককে অপমান করা হলেও তিনি (হাসিনা) কোনো ভূমিকা নেননি। উল্টো তার অবস্থান ছিল নানক-কাদেরদের পক্ষেই। উৎস: ইত্তেফাক।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়