শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনটি স্বাভাবিক নয় বলছেন শ্রমিক নেতারা

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন পক্ষের দাবি দাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানা ধরনের সংটের মুখে, তখন পোশাক শিল্পে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করে তাদের সামনে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মালিক-শ্রমিক সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে এ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। কারখানায় ভাঙচুর ও হাঙ্গামার জেরে বিভিন্ন স্থানে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় অনেক কারখানা। এমনকি মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন বিদেশি অনেক ক্রেতাও। 

 
এ পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাপকভাবে তৎপর হয় সরকার। নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে নামে সেনাবাহিনীও। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ভাঙচুর ও অন্যান্য ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পায় সাভার আশুলিয়ার শত শত পোশাক কারখানা। তবে এরপরও বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে থাকে।
 
এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে রক্ষা করতে বিজিএমইএ ভবনে বৈঠকে বসেন, মালিক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা। সেখানে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী তিন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে খোলামেলা নিজেদের অভিমত ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন পোশাক কারখানার মালিক পক্ষ ও শ্রমিক নেতারা। বক্তব্য দেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও।

তবে তারপরও কারখানা অঞ্চলে স্বস্তি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেক উদ্যোক্তা। তাদের কাছে এবারের আন্দোলনের ধরনটাই অন্যরকম বলে মনে হচ্ছে। এবারের আন্দোলন নতুন, যা ৩০ বছরে তারা দেখেননি বলে ১৪ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে তুলে ধরেন তারা। মালিকদের ভাষায়, এ আন্দোলনে শ্রমিক নেতাদের নেতৃত্ব নেই; নেই কোনো সুনির্দিষ্ট বা যৌক্তিক দাবি। দাবি পূরণের পরও আন্দোলন থামেনি। বরং কাজে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েও শ্রমিকরা বর্জন করেছে, চালিয়েছে ভাঙচুর। 
 
অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক বাবলু বলেন, ‘১৪ দিন পর কারখানা খুলেছি। মনটা ভালো। তবে ভালো থাকবে কি না তা নিশ্চিত নয়। কারখানা কেন বন্ধ হলো আর কেনই বা খোলা হলো জানি না। ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করি। এই প্রথম আন্দোলনের কারণ জানি না। আর এটাই বড় আতঙ্ক।’
 
 
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও। এ সময় শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া এবং অসন্তোষের কারণও তুলে ধরেন তারা। তবে একই সঙ্গে এবারের আন্দোলনের ধরন অতীতের মতো নয় বলে মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত পোষণ করেন তারাও। শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই এসব ঘটনার পেছনে তৃতীয় পক্ষ কিংবা ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
 
বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় পোশাক শিল্পে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তির ইন্ধনের বিষয়টি উল্লেখ করে এ ব্যাপারে মালিক, শ্রমিক ও সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ও শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ।
 
তিনি বলেন, কারখানার বৃহত্তর স্বার্থে মালিক শ্রমিক এক হয়ে কাজ করতে হবে। তবে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি বিশৃঙ্খলা করতে পারে, তা সুকৌশলে নিবারণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
 
শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে মন্টু ঘোষের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রমিক নেতারা আলাপ আলোচনা করে শ্রমিক মালিকদের সঙ্গে নিয়ে সমঝোতায় বসে সমস্যার সমাধান করলাম। কিন্তু দেখা গেল ওই কারখানায় হঠাৎ করে নিজেদের শ্রমিক দাবি করা একটা গ্রুপ কিছু দাবি করলেন আর মালিকরা ছুটি দিয়ে দিলেন। পরবর্তীতে আর সে সব শ্রমিক নামধারীদের খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এতেই পরিষ্কার হয় যে এখানে ষড়যন্ত্র রয়েছে।’
 
বর্তমানে শিল্পাঞ্চলগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে ভেতরে ভেতরে কে কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাও শ্রমিক সংগঠনগুলো কিংবা শ্রমিক নেতারা বুঝতে পারছেন না। কারণ সত্যিকারের শ্রমিকরা কখনই কারখানায় হঠাৎ করে এভাবে দাবি আদায় করতে পারে না। যে কোনো দাবি দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। লিখিত ভাবে তাদের দাবি উত্থাপন করতে হবে।
 
 
তিনি বলেন, বর্তমানে কারখানাগুলোতে ৫ শতাংশ বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হচ্ছে, কিন্তু এখন হঠাৎ করেই ১৫ শতাংশের দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু এটা একজন মালিকের পক্ষে তো একা দেয়া সম্ভব হবে না। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হবে।
 
এভাবে অযৌক্তিকভাবে দাবি উত্থাপন অনুচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ইনক্রিমেন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য আন্দোলন করে আসছি। তবে তা যৌক্তিকভাবে আলোপ আলোচনার মাধ্যমে করার পক্ষে আমাদের অবস্থান। মালিক শ্রমিক সরকার সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়েই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে  শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি দাওয়া পূরণের পথে যেতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
 

বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নিজের বক্তব্যে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার বলেন, বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে মালিকদেরই তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
 

কোনো কোনো কারখানায় কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসম্মান করার অভিযোগ তুলে তিনি এর প্রতিকার চান। বাবুল আখতার বলেন, শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে বারবার আন্দোলন করতে শ্রমিকনেতাদেরও ভালো লাগে না। বরং কারখানাগুলোর ঘরের সমস্যা তাদের শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা মালিকদেরই সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠন ও নেতারা প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।
 
মন্ত্রণালয়ে শ্রমবিষয়ক যে সব কমিটি করা হয়েছে, সেগুলোতে প্রকৃত শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব সঠিকভাবে হচ্ছে না দাবি করে বাবুল আখতার বলেন, এ সব কমিটিতে প্রকৃত শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। এছাড়া কারখানাগুলোতে শ্রমিক নেতাদের কালোতালিকাভুক্ত করে তাদের কাজ করার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এটার অবসান ঘটাতে হবে।
 

এক্ষেত্রে সরকার শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য শিল্পাঞ্চলগুলোতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে উল্লেখ করেন তিনি। বিশেষ করে শ্রমিকদের জন্য শিল্পাঞ্চলগুলোতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গুরুত্ব তুলে ধরে বাবুল আখতার বলেন, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শ্রমিকরা যখন চিকিৎসকের কাছে যায় তখন তাদের বিভিন্ন টেস্ট বাবদ ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা চলে যায়। অথচ তারা যে বেতন পান, তা দিয়ে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির বাজারে টিকে থাকাই মুশকিল।
 
পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতনের বেশিরভাগই বাড়ি ভাড়ার পেছনে চলে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ও মালিকপক্ষ চাইলে শ্রমিকদের জন্য কলোনি কিংবা হোস্টেল তৈরি করে দিতে পারে। যেখানে শ্রমিকরা স্বল্প খরচে থাকতে পারবেন। এভাবে শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ে চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে কম মজুরিতেও শ্রমিকদের জন্য জীবন ধারণ সহজ হবে।
 
মতবিনিময়ে তুলে ধরা শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে পরবর্তীতে সময় সংবাদকে বাবুল আখতার বলেন, কোনো কারখানায় শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে এলে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাদের মাঝে প্রবেশ করে সুযোগ সন্ধানীরা। তারাই মূলত ভাঙচুরসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। দোষ হয় সাধারণ শ্রমিকদের।
 

বৈঠকে শ্রমিকনেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন। তবে এবারের আন্দোলন ও শ্রমিক অসন্তোষের ধরন আলাদা বলে সময় সংবাদকে জানান আমিরুল হক আমিন।
 
তিনি বলেন, এবারের সংকটের সঙ্গে জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এর আগের সংকটে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। এবারের শ্রমিক অসন্তোষ এমন একটা সময়ে হলো যখন মাত্র কিছুদিন আগেই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। যে সংগ্রামে গার্মেন্টস শ্রমিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
 
এই সরকার পরিবর্তনের প্রভাব এবারের শ্রমিক অসন্তোষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে আমিরুল হক আমিন বলেন, আগের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টস সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রকরা ছিল বিগত সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ঝুট ব্যবসা, পরিবহন, কারখানাগুলোতে টিফিন, দুপুরের খাবারসহ সবকিছই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর তারা এখন রাজ্যহারা। তাদেরই একটি অংশ হয়তো নিজেদের অনুগত লোকজন দিয়ে শিল্পাঞ্চলগুলোতে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আবার তাদের রেখে যাওয়া শূন্যস্থান যারা পূরণ করছে, যারা এই রাজত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে, তাদের মধ্যেও বিভিন্ন গ্রুপিং এবং দ্বন্দ্ব রয়েছে, এরও একটি প্রভাব পড়ছে শিল্পাঞ্চলগুলোতে। এই দুই কারণে এটা ঘটছে। যা আগে ছিল না।
 
এছাড়া গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পট পরিবর্তনের পর এই শ্রমিক আন্দোলনে একটি রাজনৈতিক মাত্রাও রয়েছে উল্লেখ করে বর্ষীয়ান এই শ্রমিক নেতা বলেন, এবারের আন্দোলনে শ্রমিকদের শক্তিশালী অংশগ্রহণ ছিল। তাদের আত্মত্যাগও রয়েছে। পুরোনো ব্যবস্থার পতনের পর নতুন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মধ্যেও আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। কারণ তারাও স্টেক হোল্ডার। অবশ্য এটা শুধু গার্মেন্টসেই নয়, সরকারি চাকরিজীবীসহ সমাজের অন্যান্য সেক্টরেও হয়েছে। অথচ রানা প্লাজা বা তাজরীনসহ অন্যান্য ট্রাজেডির পর পোশাক খাতে যে ধরনের সংকট দেখা দিয়েছিল, তখন কিন্তু পরিস্থিতি এ রকম ছিল না। এ কারণেই এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ও প্রশাসনের একটু বেশি সময় লাগছে।
 
পোশাক কারখানার শ্রমিকদের রেশন দেয়ার একটা আলোচনা অনেকদিন ধরেই চলছে উল্লেখ করে আমিরুল হক আমিন বলেন, যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই রেশন দেয়ার উদ্যোগের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হতো, তবে বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি সহজেই শান্ত করা যেত।
 
একই ধরনের মত দেন শ্রমিক নেতা বাবুল আখতারও। গণঅভ্যুত্থানে সাভার আশুলিয়া ও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং তাদের বিপুল আত্মত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করে বাবুল আখতার সময় সংবাদকে বলেন, ৫ আগস্টের পর শ্রমিকদের চোখের ভাষা ও শরীরী ভাষা বদলে গেছে। 
 
গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করেন। তাই আগের মতো শ্রমিকদের দাবি দাওয়াকে পেশীশক্তি দিয়ে দমন করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ব্যাপারে কারখানা মালিকপক্ষ ও সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তা না হলে তৃতীয় পক্ষ ও সুযোগসন্ধানীরা এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।

 

তথ্যসুত্র : যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়