ডেস্ক রিপোর্ট : পোশাক খাতের সব কারখানা আজ মঙ্গলবার খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন। এমনকি গতকাল যে ৭৯টি কারখানা বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোও খোলা থাকবে। গতকাল আশুলিয়া এলাকার কারখানা মালিক ও পোশাক খাতের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ এক বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।
তুহিন বলেন, আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানা মালিক এবং আরএমজি ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে, বৈঠকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে, নারী-পুরুষ পরিচয়ের ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী এবং কারখানার প্রয়োজনের ভিত্তিতে নতুন নিয়োগ হবে।
সভায় শ্রমিক নেতারা হাজিরা বোনাস বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার দাবি করেছেন, যা বর্তমানে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা আছে। বিজিএমইএ বলেছে, কারখানার মালিকদের বেতন কাঠামোর বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করতে বাধ্য করার ক্ষমতা তাদের নেই। এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো মালিকদের নিজস্ব এখতিয়ার ও সক্ষমতা ওপর নির্ভর করে।
এদিকে আশুলিয়ায় বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের জেরে গতকাল হা-মীম গ্রুপসহ ৭৯টি কারখানা বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল সকাল থেকে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি কারখানায় কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন বলে জানায় শিল্পপুলিশ। এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা এবং ইউফোরিয়া নামের একটি কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর র্যাবের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ধামরাইয়ে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাটার কারখানার সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। এএইচ খান কোম্পানি ও আরম্যাক সার্ভিসেস লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান দুটির শ্রমিকরা সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। স্থানীয় এ দুটি কারখানা থেকে সাব-কন্টাক্টে জুতা কেনে বাটা। কয়েকশ শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে সকায় এ খাতে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্র : দৈনিক আমাদের সময়