শিরোনাম
◈ কাতারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পেলেন লালগালিচা সংবর্ধনা ◈ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএসকেও সরিয়ে দেওয়া হলো ◈ নকশা না মেনে গড়ে ওঠা রাজধানীর ৩ হাজার ৩৮২ ভবন ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান ◈ যেসকল সেবা মেলে না এনআইডি লক হলে ◈ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত ◈ সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী ◈ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসি চালানো নিয়ে নতুন নির্দেশনা ◈ গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দুই অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক অব্যাহতি দিল এনসিপি ◈ আবারও স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, দেশে ভরিতে কত বাড়লো? ◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ০১:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেবে সরকার : জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলকে ধর্ম উপদেষ্টা 

আনিস তপন : বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংবিধানে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মচর্চার স্বাধীনতা রয়েছে। সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।


রোববার সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার অফিস কক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।


উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল থেকেই এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। এদেশে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। এদেশের মানুষ একইসময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে রোযা ও পূজা উদযাপন করে থাকে। এখানে কখনোই মারাত্মক কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটেনি। সরকার প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মচর্চা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করছে। এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক পৃথক ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে।


ড. খালিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধর্মের নয়-দশটি প্রতিষ্ঠানে কমবেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃতঅর্থে সাম্প্রদায়িক কোন সংকট থেকে এই হামলা ঘটেনি। এরূপ হামলা যারা করেছে তারা দুর্বৃত্ত এবং রাজনৈতিকভাবে হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এটা করেছে। এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 


এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদেরকে ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে পত্র দেওয়া হয়েছে।  তাদের কাছ থেকে তথ্য পেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।


ওএইচসিআরের প্রতিনিধিদলের প্রধান রোরি মানগোভেন বলেন, তরুণদের আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। কিছু ভুল তথ্যও মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে। তিনি আন্দোলন পরবর্তী সরকারের সার্বিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। 


এছাড়া, তিনি পুণরায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসবেন বলেও এসময় জানিয়েছেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়