সালেহ্ বিপ্লব: [২.১] বুধবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে বিবৃতি পড়ে শোনান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
[২.২] তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ও ব্যাংক সাময়িক বন্ধ থাকা এবং কারফিউ-এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে জাতিসংঘের অংশীদাররা কাজ অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সহিংসতার মধ্যেও একটি বিষয় সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার যে দেশটিতে মানবিক সংকট রয়েছে। সাইক্লোন রেমালসহ বিভিন্ন দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষদের অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
[৩.১] প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার তৎকালীন সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনার তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকার কি জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে? জাতিসংঘ কি এ ধরনের আহ্বানে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অধীনে তদন্ত করবে নাকি নিজেদের ব্যবস্থাপনায় তদন্ত করবে?’
[৩.২] জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘আপনার প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার মতো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে যে কোনো দেশের সরকার যদি আমাদের সাহায্য চায়, তাহলে অবশ্যই আমরা তা করবো। সবচাইতে ভালো উপায়ে সেটা কীভাবে করা যায় তা আমরা ভেবে দেখবো। এ ধরনের যেকোনো ইস্যুতে স্বাধীনভাবে তদন্ত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের আইনগত কমিটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
[৪.১] পরের প্রশ্নে মুশফিক বলেন, ‘আপনি কিছুক্ষণ আগে গাজায় সাংবাদিক নিহত হবার বিষয়ে কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অন্তত ৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেউ জানে না তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের নিউজ সংস্থায় কাজ করা আমার সাবেক সহকর্মী সাঈদ খানসহ অনেককে আটক করা হয়েছে।’
[৪.২] জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক বিক্ষোভে গুলি এবং গোলাবারুদের ব্যবহার নিয়ে আমরা নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ কিংবা পৃথিবীর যেকোনো দেশের সরকারই হোক না কেন প্রত্যেক সরকারের উচিত জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন এবং বাধাহীনভাবে কাজ করার অধিকারের সুরক্ষা করা।’
আপনার মতামত লিখুন :