শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২৪, ০৮:১২ রাত
আপডেট : ৩১ জুলাই, ২০২৪, ১২:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তসহ ১১ দাবি বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের

মাসুদ আলম: [২] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং যথাযথ পুনর্বাসন’, শান্তিপূর্ণ, নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের ব্যবহার ও বলপ্রয়োগসহ প্রতিটি হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তদন্তসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়েছে। 

[৩] মঙ্গলবার ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানানো হয়। 

[৪] দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারি মদদপুষ্ট অস্ত্রধারীদের গুলি এবং নির্মম আঘাতে নিহত সকল মৃত্যুর সঠিক, স্বচ্ছ তদন্ত হতে হবে এবং প্রকৃত দোষী, তা সে যতই উচ্চ পদাধিকারী বা কোন দলমতের হোক, সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

[৫] স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য এবং বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে প্রতিটি হতাহতের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের ব্যবহার ও বল প্রয়োগের বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হতে হবে। এই প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করতে হবে।

[৬] ১৪৭ জন নয়, সকল নিহত ও আহত নাগরিকের সম্মানে জাতির সহানুভূতি, সম্মান আর শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় শোক ঘোষণা করতে হবে। 

[৭] অবিলম্বে আটককৃত সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি দিতে হবে এবং শিক্ষার্থী গ্রেপ্তারের চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। 

[৮] তথাকথিত ডিবি হেফাজত থেকে সকল সমন্বয়কারী মুক্তি দিতে হবে। 

[৯] সরকারকে ভয় দেখানোর সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। গুলি করে আন্দোলন দমনের অসুস্থ মানসিকতার অবসান এখনি করতে হবে। স্বাভাবিক ও স্বস্তির পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারফিউ ও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, সাঁজোয়া যান সরিয়ে নিতে হবে, হেলিকপ্টারের পাহারা থামাতে হবে, ব্লক রেইড, গণগ্রেফতার, ছাত্র-অভিভাবক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমরা স্বাধীন দেশে মুক্ত পরিবেশে বসবাস করবো, কোন বদ্ধ, নিয়ন্ত্রিত, আতঙ্কের পরিবেশে নয়।

[১০] অবাধ তথ্য প্রবাহে আরোপিত সকল বাধা দূর করতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পূর্ণ মাত্রায় খুলে দিতে হবে।

[১১] এসময় উপস্থিত ছিলেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক, বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ। সম্পাদনা: এম খান

একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়