এম. এ. লতিফ: [২.১] মঙ্গলবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর ও বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে ওমর শরীফের আবারও এই রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
[২.২] কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
[৩] এর আগে, উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মিরপুর মডেল থানার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে ডিবি পুলিশ।
[৪] এদিন আসামিপক্ষে আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষে শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৫] গত ২৫ জুলাই নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় এই আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
[৬] গত ২৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক মো. গোলাম রসূল আজাদ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের মিরপুর থানার আওতাধীন অংশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
[৭] মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন-রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়। তারা মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মিরপুর মডেল থানার অংশে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
একে