আদালত প্রতিবেদক: [২] সমস্ত মৃত্যুই আমাদের জন্য দুঃখজনক উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আমরা এমন কোন কাজ করবো না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়।’
[৩] বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর মরণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আজকের শুনানি মুলতবি করে আগামীকাল (৩১ জুলাই) আবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
[৪] আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও আইনজীবী অনিক আর হক। অন্যদিকে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মেহেদী হাসান চৌধুরী। এছাড়া শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নূরুল ইসলাম সুজন, মমতাজ উদ্দিন ফকির, আজহার উল্লাহ ভুইয়া ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ মনজুরুল হক।
[৫] গতকাল হাইকোর্টে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। রিটে ‘আন্দোলনকারী বা বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় নামার আশংকা’র কথা উল্লেখ করে তাদের ওপর মরণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সাথে এই রিটে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেয়াকে বেআইনি উল্লেখ করে তাদের মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
[৬] গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য এলে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মেহেদী হাসান চৌধুরী রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে রিটের আবেদন খারিজ করতে আবেদন করেন। সেই সাথে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন নিরাপত্তা দিতে ওই ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
কে/আইএফ