শিরোনাম
◈ ইউএসএআইডির সকল কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন! ◈ ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ঠিকানা খুঁজে পাননি লিটন দাস ও মোস্তাফিজ ◈ লা লিগায় জিরোনাকে হারালো রিয়াল মাদ্রিদ ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক মার্চে,  ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই চার্টার ঘোষণা ◈ বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাকা সড়কে কাদায় মাখামাখি, বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ◈ ১৩ মাস পর উৎপাদনে ফিরলো সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানা  ◈ আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ 'আ. লীগের বিচার না করলে জনগণ আবার আন্দোলনে নামবে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৫৩ বিকাল
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন ৭৪ ‘বিক্ষুব্ধ’ নাগরিক 

সালেহ্ বিপ্লব: [২] কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক হত্যার বিচার দাবি করেছেন দেশের ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেছেন, আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীসহ শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের নিহত, আহত ও নির্যাতিত হওয়ার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্তের স্বার্থে তা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি। তাই তারা জাতিসংঘকে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

[৩] সোমবার ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিকেরা’ ব্যানারে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, গভীরতম বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ১৬ জুলাই থেকে পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল মন্ত্রীর প্ররোচনায় তাঁদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনের সহিংস কর্মীরা নজিরবিহীন দমন-পীড়নের তাণ্ডব চালিয়েছেন। শুরু থেকেই সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলনকে সরকারি দল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করতে চেয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীপক্ষও ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতির নামে একে নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

[৪] বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, তাঁরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন এ কারণে যে তাঁদের আশঙ্কা, সরকারি বাহিনী ও সরকারি দলের সংগঠনগুলোর আক্রমণে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক ব্যাপক, অনেক ভয়াবহ। ইন্টারনেট ও গণমাধ্যমের ওপর সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে যা তাঁরা জানতে পারছেন না।

[৫] বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, এত অল্প সময়ে কোনো একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন বিপুলসংখ্যক হতাহতের নজির গত এক শ বছরের ইতিহাসে (মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ বাদ দিলে) এ দেশে তো বটেই, এই উপমহাদেশেও মিলবে না। এমন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা বা ধিক্কার ও প্রতিবাদের উপযুক্ত ভাষা তাঁদের জানা নেই। এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের। 

[৬] কারফিউ তুলে নেওয়াসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন বিশিষ্ট ৭৪ নাগরিক। 

[৭] বিবৃতিতে সই করেছেন সুলতানা কামাল, হামিদা হোসেন, খুশী কবির, শাহদীন মালিক, রাশেদা কে চৌধুরী, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ  হোসেন জিল্লুর রহমান, দীপায়ন খীসা প্রমুখ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়