ইস্রাফিল ফকির: [২.১] টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করে বলেন, অগ্নিসংযোগ করে আমাদের ডেটা সেন্টার সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিয়েছে, অনেক কিলোমিটার ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল পুড়িয়ে দিয়েছে তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সেনাবাহিনী, পুলিশ,র্যাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় মেরামত করে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে।
[২.৩] আগামীকাল পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করে এইটাকে কিভাবে স্থায়ীভাবে সচল রাখতে পারি তার জন্য সার্বিক চেষ্টা চালাচ্ছি।
[৩.১] এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে ইন্টারনেটে শেয়ার পরে। আমরা কোনো একটা ছবি বা ভিডিও বা কোনো একটা উসকানিমূলক বক্তব্য শুনে বা দেখেই যাতে আবেগপ্রবণ হয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখাই।
[৩.২] আমরা যেনো সেই তথ্য উপাত্ত বা বক্তব্য টা একটু যাচাই বাচাই করে তারপর যেনো প্রতিক্রিয়া দেখাই । অবশ্যই যদি কোনো কিছু ঘটে সরকার মূলধারার গণমাধ্যম আছে তাদের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কিন্তু সোস্যাল মিডিয়া,ফেসবুক কিংবা, ইউটিউবে তাদের তো কোনো জবাবদিহিতা নাই। না বাংলাদেশ সরকারের কাছে আছে , না তাদের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে আছে।
[৪] তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন,মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্মম ভাবে হত্যা করে পাঠিয়ে দিলো সেটা কি জন্য ঘটলো? একটা মিথ্যা ধর্ষণের কাহিনিকে কেন্দ্র করে সেখানে গণহত্যা চালানো হলো। তার পরিপেক্ষিতে আজ বাংলাদেশে প্রায় ১২,১৪ লাখ শরনার্থীকে আমাদের আশ্রয় দিতে হয়েছে বছরের পর বছর। আপনরা দেখেছেন, এইযে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কিভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার হচ্ছে। সে বিষয়ে তাদের এক ধরনের অবস্থা।
[৫] আপনারা দেখেছেন যে ইসরাইল ফিলিস্থিনদের ওপরে অমানবিক হামলা এবং যে হত্যা চালাচ্ছে সেখানে এই ফেসবুক বা অন্য যে সোস্যাল মিডিয়া আছে? তাদের ভূমিকা কী? তার মানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা নেয় অথচ আমরা দেখছি যে আমদের এখানে যখন র্যাবের গাড়ি ভাঙচুর করছে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করছে। পুলিশকে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা হত্যা করছে, সেই ছবিগুলো ভিডিওগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া উস্কানিকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অথচ সেইগুলো ব্লক করা হচ্ছে না। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী