ইকবাল খান: [২] এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা শান্তি বজায় রাখতে ও উত্তেজনা হ্রাসে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি গতকালও(সোমবার) বলেছি, আমরা সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই। সেটা যে ধরণের সহিংসতাই হোক না কেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন করি। কিন্তু সব অবস্থায় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হতে হবে। আর সরকারকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
[৩] বাংলাদেশজুড়ে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘এর ফলে বাংলাদেশে অবস্থানরত আমেরিকার নাগরিকসহ দেশটির জনগণ জরুরি তথ্য পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়েছে। এটা এমন একটি বিষয় যা অন্যান্য দেশে ঘটলে তার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছি এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বলছি। আমরা এই উদ্বেগ জানিয়ে যাব।’
[৪] আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করার আহ্বান জানায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলি, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় দেশগুলো যখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো ধারণ করে, তখনই সেসব দেশ সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। এটাই আমরা অব্যাহত রাখব। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের কর্মপদ্ধতি এই নীতি দ্বারাই পরিচালিত হবে।’
[৫] আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা আমাদের অগ্রাধিকারের কথা, আমাদের মূল্যবোধের কথা অব্যাহতভাবে বলতে থাকব। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের কোনো দেশ বা অন্য কোনো দেশ যা ভাবে বা কোনো পরিস্থিতি এভাবে সামলানো উচিত বলে মনে করে, তা কি বিশ্বের সব দেশ হুবহু মেনে চলবে? অবশ্যই না। সার্বভৌম সব দেশ নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়।’
[৬] ওই সাংবাদিক বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমনে জাতিসংঘের লোগো-সংবলিত গাড়ি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করলে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘এই সম্পর্কে আমাদের হাতে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। আপনি জাতিসংঘের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন।
[৭] আমি আবারও বলতে চাই আমরা যে কোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানাই। বিক্ষোভকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা তাদের মৌলিক অধিকার। এবং আমরা একই সঙ্গে বলতে চাই যে সব অবস্থায় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হতে হবে। ’
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :