শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৯ বিকাল
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৮ থেকে ২০ জুলাই তিন দিনে ৯৯৯-এ সোয়া লাখ ফোন কল

সুজন কৈরী: [২] রাজধানীসহ সারাদেশে গত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই এই তিন দিনে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১টি কল পেয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগের কল ছিল ৬৫২টি। অগ্নিসংযোগের কলের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি কল ৯৯৯-এ করা হয় রাজধানী ঢাকা থেকে।

[৩] ৯৯৯ সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৯৯৯-এ কল আসে ২০-২২ হাজার। করোনাকালে মানুষ লকডাউনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে ফোন দিত। তখন প্রতিদিন ৩০-৩২ হাজার কল আসত। 

[৪] কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়েও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ফোন কল আসতে শুরু করে। এসব কলের অধিকাংশ ছিল আন্দোলনের সময় চলা নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও পুলিশ আটকে থাকার কল।

[৫] জানা গেছে, এসব কল পাওয়ার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেবা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে জাতীয় ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে। কিন্তু আন্দোলনের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সেবা দেওয়া যায়নি। বিশেষ করে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ভবনে আগুন লাগার পর একাধিক কল যায় ৯৯৯-এ। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। কিন্তু রামপুরা এলাকায় আন্দোলন চলায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বিটিভির ভবনের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।

[৬] অন্যদিকে অনেক সাধারণ মানুষ আন্দোলনের সময় চলা সহিংসতায় আটকে পড়ে উদ্ধার করার করার জন্য ৯৯৯-এ কল দেন। এর মধ্যে ছিল অগ্নিসন্ত্রাসে আটকে পড়া ও যানবাহন ভাঙচুরের সময় আটকে পড়ার সময়। আন্দোলনের সময় একা হয়ে পড়া পুলিশ সদস্যরাও সাহায্য চেয়ে ফোন দিয়েছেন ৯৯৯ এ। 

[৭] আবার অনেক মানুষ জাতীয় ৯৯৯-এ সহিংস আন্দোলন চলার সময় কল দিয়ে জানতে চেয়েছেন কোন রাস্তা দিয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবেন। সংঘাত প্রবণ এলাকাগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি কল এসেছে। যেমন যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর ও বনানী এলাকা থেকে কল এসেছে বেশি।

[৮] ৯৯৯-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৮ জুলাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে কল এসেছে ৩৪ হাজার ২৩৪টি। গত ১৮ জুলাই অগ্নিকাণ্ডের কল এসেছে সারাদেশ থেকে ২৬০টি। অগ্নিসংযোগের কলগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি ছিল রাজধানী ঢাকা থেকে। 

[৯] গত ১৯ জুলাই ৯৯৯-এ কল আসে ৪৮ হাজার ৯৯টি। তার মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কল আসে ২৫৭টি। এই ২৫৭টি কলের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কল আসে রাজধানী ঢাকা থেকে। 

[১০] গত ২০ জুলাই জাতীয় ৯৯৯-এ কল আসে ৪২ হাজার ৭৪৮টি। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগের কল আসে ১৩৫টি। যার মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত কল আসে রাজধানী ঢাকা থেকে।

[১১] ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাইয়ের পরবর্তী দিনগুলোতেও প্রতিনিয়ত কল আসছে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। সাধারণ মানুষ কারফিউ কখন শিথিল হবে, ইন্টারনেট কবে চালু হবে, রাস্তায় গণপরিবহন যাত্রা কখন থেকে শুরু হবে- এসবসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবার বিষয়ে জানতে ও সেবা নিতে কল দিচ্ছেন।

[১২] জাতীয় জরুরি সেবার গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, গত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই আন্দোলনে সৃষ্টি পরিবেশ এবং নৈরাজ্য সংক্রান্ত কল এসেছে সব থেকে বেশি সেতু ভবন ও বিটিভিসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার পর সেখানকার কর্মচারীরা সহায়তা চেয়ে কল দিয়েছে। 

[১৩] কল আসার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানা ও সংস্থাকে জানিয়েছি। কিন্তু রাস্তায় সংঘাত চলমান থাকায় এসব কলের বিপরীতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি পুলিশ। সংঘাত চলায় সেবা প্রত্যাশীদের সেবা দেওয়ার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়