আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার কোটা নিয়ে চলমান আন্দোলন বিষয়ে এ কথা জানান, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
[৩] তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা বলেছে যে, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকারও চায় তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যাক। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারও সমাধানই করতে চায়।
[৪] তিনি বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা আলোচনার পথে যেতে চায়। সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনার দরজা খোলা আছে।
[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা সবচেয়ে ইতিবাচক যে বক্তব্যটি দিয়েছে তা হলো, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদির সঙ্গে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন' কোনোভাবেই জড়িত নয়। অর্থাৎ, তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও সন্ত্রাস হচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এই সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়েছে।
[৬] এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্যও একই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয়, এখানে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা আরো বলেছে, চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নিবে না।
[৭] সরকার মনে করে, যেহেতু আন্দোলনের ভিতরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উপাদানগুলো দৃশ্যমান, কাজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
[৮] আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার বলেছে, তাদের আন্দোলনকে কেউ যেন ভিন্নখাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। অর্থাৎ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা আছে- যা প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
[৯] এমতাবস্থায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সরকার মনে করে তৃতীয় পক্ষের অসাধু সুযোগ নেয়ার অপচেষ্টা রোধের জন্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায়, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পড়ার টেবিলে ফিরতে পারে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :