শিরোনাম
◈ হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা নেতানিয়াহুর ◈ এবার বিদেশে বসে শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী নেতাদের টেলিকনফারেন্স! (ভিডিও) ◈ কূটনৈতিক জোন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাড়ি লাপাত্তা ◈ সাম্প্রদায়িক উদ্দেশে চিন্ময় কৃষ্ণ সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ ইমরান খান মুক্তি না পেলে ডি-চক ছাড়বেন না বুশরা বিবি, ‘ডি-চক’ আসলে কী? ◈ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ইস্যু, ভারতে বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ◈ রাষ্ট্রদূত হলেন সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুল ◈ জনগণকে অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলো ভারত সরকার ◈ ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ, এবার হেরে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০৩:০০ দুপুর
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি সরকার: আইনমন্ত্রী

ইকবাল খান: [২] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ বলেছেন, কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলাপ-আলোচনার প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছেন।

[৩] তিনি সংসদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। তারা যখনই বসতে রাজি হয়, আমরা সেটা যদি আজকে হয়, আজকেই বসতে রাজি আছি।

[৪] আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আলোচনার জন্য আমাকে; আইনমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে বসবো এবং আমরা এটাও বলতে চাই যে, তারা যখনই বসতে রাজি হবে, আমরা সেটা যদি আজকে হয়, আজকেই বসতে রাজি আছি।’

[৫] তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘোষণা দিতে বলেছেন যে, আগামী ৭ আগস্ট যে মামলা শুনানির কথা ছিল, সেই মামলার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে। আমি সেই মর্মে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছি যে, আগামী রোববার তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আবেদন করবেন। যাতে মামলাটার শুনানির তারিখ তারা এগিয়ে আনেন।’

[৬] তিনি বলেন, ‘তৃতীয়ত, গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খন্দকার দিলরুজ্জামানকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে।’

[৭] আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যালোচনা সবই করেছি। কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন যে শিক্ষার্থীরা, তাদের কিন্তু এই কটা দাবিই ছিল। যেহেতু সরকার তাদের দিক বিবেচনা করে এই দাবিগুলোতে রাজি হয়েছেন, আমার মনে হয় আজকে থেকে আন্দোলন করার আর কোনো প্রয়োজন নাই। আমি সেই কারণে তাদের আহ্বান জানাচ্ছি, একজন পিতৃতুল্য নাগরিক হিসেবে আমি তাদের অনুরোধ করছি, তারা যেন এই সহিংসতা বন্ধ করে এবং এই আন্দোলন প্রত্যাহার বা স্থগিত করে।’

[৮] সরকার আদর্শিকভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে একটা কথা বলতে চাই, মামলাটা আদালতে আছে। তাও সর্বোচ্চ আদালতে।  যখন আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হবে, সরকার পক্ষ কোটার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব দেবে এবং আমার মনে হয়, আমরা যেহেতু সংস্কারের পক্ষে, আমরা প্রস্তাব দেবো কোটা সংস্কার করার জন্য। সে জন্য আপনারা বলতে পারে আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে।’

[৯] পরিস্থিতির এত অবনতি হওয়ার আগে নির্বাহী বিভাগ কেন সিদ্ধান্ত নিলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে। আদালতে যখন কোনো প্রশ্ন ওঠে, তখন আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না।’

[১০] তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই সংস্কারের ব্যাপারে নীতিগতভাবে ঐক্যমত পোষণ করি।’

আইকে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়