এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে কুপিয়ে শাহিন উদ্দিন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
[৩] এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ মামলার সম্পুরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক মনির হোসেন।পরে গত ১৩ নভেম্বর এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনকে আসামি করে দেওয়া সম্পূরক চার্জশিটে বাদী আকলিমা বেগমের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিআইডিকে পুনঃতদন্ত করে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
[৪] মামলার অপর আসামিরা হলেন, আবু তাহের, সুমন বেপারী, মুরাদ হোসেন, টিটি শেখ ওরফে টিটু, গোলাম কিবরিয়া খান, ইব্রাহিম সুমন ওরফে বাওয়া সুমন, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, রকি তালুকদার ওরফে রকি, নুর মোহাম্মদ হাসান, ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল নুর, শরিফ, তৌকিরুল ইসলাম ওরফে ইমন, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন ও প্রতীক আহম্মেদ সজীব। আসামিদের মধ্যে নয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
[৫] ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে ১২ মে আদালত শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
[৬] ১৬ মে, ২০২১ইং শাহিন উদ্দিনকে হত্যার পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
[৭] মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ মে, ২০২১ইং আনুমানিক সময় বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেয়। শাহিন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর গ্যেরেজ থেকে বাইরে এনে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবারো তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেলে ঘটনাস্থলেই শাহিনের মৃত্যু হয়। এ সময় শাহিন উদ্দিনের ৬ বছর বয়সের ছেলে মাশরাফি ঐ বাড়ির গেটের বাইরে ছিল। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
কে/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :