আসাদুজ্জামান সম্রাট: [২] বাড়ির পাশের খালি বা পতিত জমিতে হলুদ, মরিচ, পিয়াজ, রসুন ও আদা জাতীয় ফসলের চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
[৩] সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনাপার্কে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলমান বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের অংশ হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] তিনি বলেন দেশের অধিকাংশ বাড়িতে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এসব ফসল চাষ করার মতো যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলেই স্বল্প পরিশ্রমে স্বল্প জমিতে এসব ফসল চাষ করতে পারেন। এতে এসব ফসল আমদানি করতে যে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় তা সাশ্রয় হবে এবং বাজারে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি অনেকাংশেই প্রশমিত হবে।
[৫] তিনি আরো বলেন দ্রুত বর্ধনশীল বিদেশি জাতের গাছের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন গাছ লাগানো উচিত। পরিবেশ সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এসব গাছের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
[৬] বৃক্ষরোপণকে একটা সামাজিক আন্দোলনের ফল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের স্থলভাগের মোট আয়তনের ১৭ ভাগ বনায়ণ সম্ভব হয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য নূন্যতম ২৫% বনভূমির লক্ষ্য অর্জনে আরো ৮% বনায়ণ করতে হবে। এজন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় বৃক্ষরোপণের জন্য তিনি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি রমনা পার্কের ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে একটি আম গাছের চারা রোপন করেন।
[৭] গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুর রহমানসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :