ইকবাল খান: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উপকূল থেকে উপকূল যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।
[৩] বাসস আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ কক্সবাজারে একটি আলাদা জমি দিতে পারে যেখানে থাই বিনিয়োগকারীরা তাদের পর্যটন ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।’
[৪] প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. নালিনি তাভিসিনের সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
[৫] সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
[৬] মন্ত্রীর পদে থাকা ড. নলিনী এখন তার চার দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি একজন থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিও।
[৭] তিনি শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন এবং একটি থাই ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
[৮] প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শেষ হলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে।
[৯] তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ায় ব্লু ইকোনমি সম্পর্কিত প্রতিটি কাজ করা ভালো হবে।
[১০] তিনি বলেন,‘যেহেতু সমুদ্রসীমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,এখন আমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা এখানে তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য
যেকোনো স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সাথে একটি যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।’
[১১] ড. নলিনি বলেন, তারা জ্বালানি,সরবরাহ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সামুদ্রিক খাবার এবং পর্যটনে ভাল মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
[১২] প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘তারা সক্রিয়ভাবে এখানে অংশীদার খুঁজছে এবং তারা কাজ করছে।’
[১৩] তিনি বলেন, থাই প্রতিনিধিদল হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে কারণ তাদের হাজার হাজার হালাল খাদ্য পণ্য রয়েছে।
[১৪] নাঈমুল ইসলাম খান বলেন,‘তারা বলেছে, বৈশ্বিক এবং জাতীয় বাজার দখলের জন্য বাংলাদেশের জন্য এই খাতে সহযোগিতা করার একটি অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।’
[১৫] এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান,অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :