সালেহ্ বিপ্লব, রিয়াদ হাসান: [২] বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে তো কথা বলার মতো অবস্থা ছিলো না। বিএনপি সরকার ব্যাপক অনিয়ম করেছে। ২৪ বিসিএস পরীক্ষার মধ্যদিয়ে প্রশ্ন ফাঁস শুরু হয়। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সব বন্ধ করেছি।
[৩] প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলে, এসব অনিয়ম বন্ধ করতে গেলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমার কথা হলো, ইমেজ নিয়ে আমি ভাবি না। যারা অপরাধী, তাদের ধরতেই হবে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্ত হবে। বিচার হবে।
[৪] প্রশ্ন ফাঁসের বেনিফিশিয়ারি হিসেবে পাশ করে যারা প্রশাসনের বড় বড় পদে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বেনিফিশিয়ারি যদি তাদের খুঁজে বের করা যায় তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সেটি খুঁজে দেবে কে? এটি খুঁজে বের করে দিতে হবে। যদি তারা বলে যে অমুকের কাছে প্রশ্ন বিক্রি করেছিলাম তখন প্রমাণ করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৫] তিনি বলেন, আমিও সেটি বিশ্বাস করি যে, যারা বেনিফিশিয়ারি তাদের কেউ ধরা হোক, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। যারা ঘুষ দেয় এবং যারা ঘুষ নেয় দুজনই সমান অপরাধী। প্রশ্ন পত্র যারা ফাঁস করে এবং সেই প্রশ্ন পত্র যারা কভার করে তারা দুজনই অপরাধী তাতে কোনো সন্দেহ নাই। কাজেই কেউ যদি খুঁজে বের করে দেয়, সাংবাদিকরা আছে তারা যদি চেষ্টা করে, খুঁজে বের করে দেয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :