শাহরিয়ার বিপ্লব: [২] অর্থনৈতিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরের কূটনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসেছে নানারকম বিশ্লেষণ।
[৩] কানাডিয়ান প্রেস লিখেছে, ভারতের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রেখে বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তারপরেও চীনের সুসম্পর্ককে দারুণভাবে উপভোগ করছে।
[৪] এএফপি: বিশ্ব সম্প্রদায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাসিনার কূটনৈতিক স্টাইল দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে যে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তার সফল কূটনীতির একটি নতুন স্তরে উন্নীত হয়েছে।
[৫] এপি: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা শেষে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ এই সফরে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল চীনের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সে সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছে।
[৬] গ্লোবাল টাইমস (চীন): শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতির চেতনাকে সমুন্নত রাখতে, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে গভীর করতে, উন্নয়ন কৌশলগুলিকে সারিবদ্ধ করতে, উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার অগ্রগতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নত করতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
[৭] সিনহুয়া (চীন): চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া চীনের পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াং হুনিংকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘চীন এবং বাংলাদেশ একে অপরকে সম্মান ও সমতার সাথে আচরণ করেছে। দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং পারস্পরিক সহযোগিতার একটি ভাল উদাহরণ স্থাপন করেছে।’
[৮] দি ইকোনমিক টাইমস (ভারত): ঘোষিত নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিলো, চীন-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির যৌথ সম্ভাভ্যতা অধ্যয়নের উপসংহার। চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির অপ্টিমাইজেশান বলে উল্লেখ করেছে।
[৯] ব্লুমবার্গ (যুক্তরাষ্ট্র): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ভিত্তি মজবুত হবে। চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার।
[১০] আরব নিউজ (সৌদি আরব): বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও কৌশলগত সহযোগিতার বিভিন্ন খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
[১১] ইউরেশিয়া নিউজ: শেখ হাসিনার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ-চায়না সম্পর্কের এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হল।
[১২] দি প্রিন্ট (ভারত): শেখ হাসিনার চীন সফর বাংলাদেশ ও চীনের ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব’-এ উন্নীত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[১৩] ফার্স্ট পোস্ট (ভারত): প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সফর চীন ও বাংলাদেশ উভয়ের সাথে ভারতের সম্পর্ককে নতুন আকার দিতে পারে।
[১৪] দি হেরাল্ড (স্কটল্যান্ড): প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে উন্নীত করতে সম্মত হয়েছেন।
[১৫] এপিপি (পাকিস্তান): আঞ্চলিক বিরোধ ও সম্পদ নিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফর চীনের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা বাড়িয়েছে । সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :