খুররম জামান: [২] চীনের প্রথম সারির প্রায় সব সংবাদমাধ্যম শেখ হাসিনার তিন দিনের বেইজিং সফর নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সূত্র: ইউএনবি
[৩] সিজিটিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দুই দেশ তাদের সম্পর্ককে একটি ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে শি জিনপিং-এর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। শি বলেছেন, ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে দুই দেশ সব সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখেছে ও পরস্পরকে সমর্থন দিয়েছে। চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ও পারস্পরিক উপকারী অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
[৪] চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস শেখ হাসিনা ও শি’র বৈঠক নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নত ও বিস্তৃত হয়েছে’ শিরোনামের মন্তব্যধর্মী প্রতিবেদনে সিজিটিএনের মতো শি’র বক্তব্যের প্রায় একই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
[৫] গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ এক চীন নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলে, তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের অবস্থানকে সমর্থন করে। চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে এবং চীনের নিজের মূল স্বার্থ রক্ষার কাজকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।’
[৬] প্রতিবেদনটিতে সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেংয়ের মন্তব্য নেওয়া হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনার সফরকে বেইজিং ও ঢাকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে একটি যোগসূত্র বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
[৭] শেখ হাসিনার বেইজিং সফর নিয়ে গ্লোবাল টাইমসের সঙ্গে সাংহাই একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের গবেষণা ফেলো হু ঝিয়াংও কথা বলেছেন। এই সফর দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে আরও উন্নীত করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :