আদালত প্রতিবেদক : [২] সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়ার জন্য কেন একটি নীতিমালা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
[৩] এসংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে আগামী ৩ মাসের মধ্যে নীতিমালা করার বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
[৪] আদালতে রিটকারি আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
[৫] গত ৩ জুলাই আইনজীবী ইশরাত হাসান ও তার ৬ মাসের শিশু সন্তান হাইকোর্টে রিটটি করেন। রিট শুনানির সময় ছয় মাসের শিশুটি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
[৬] রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে শুধু মায়ের ভূমিকাই নয়, বাবার ভূমিকাও রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্ম হওয়ার পর মায়ের সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে। এই সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।
[৭] এক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রয়োজন।’
[৮] এই রিটে আরও বলা হয়েছে যে, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।’ সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
জেএইচ/এমটি
আপনার মতামত লিখুন :