মনজুর এ আজিজ: [২] আগামী ১৭ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ শো-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন প্রোগামে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান।
[৩] তিনি বলেন, এ আয়োজন দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান অ্যাকোয়াকালচার ও সি ফুড খাতকে এগিয়ে নিতে সম্মিলিত অগ্রযাত্রার মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ আয়োজন অংশীজনের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
[৪] মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৎস্য খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে নানা দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে এক ভাষণে বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাল্লাহ, এই দিন আমাদের থাকবে না।
[৫] তিনি বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায় সময়োপযোগী নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে মোট মাছের উৎপাদন হয়েছে ৫০ লাখ মেট্রিক টন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ একদিন প্রথম স্থানে উন্নীত হবে।
[৬] তিনি বলেন, ২০৪১ সালে আমাদের ৮৫ লাখ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যা অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। ২০৩০ সালের মধ্যে অ্যাকোয়াকালচার ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।
[৭] অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তিন দিনব্যপী এ আয়োজনে অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড সম্পর্কিত বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ আয়োজনে ৩৫টি দেশের ১০০টি স্টল থাকবে।
[৮] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), মৎস্য অধিদপ্তর, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া লিমিটেড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড এর আয়োজন করছে। এ আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েশন সহযোগিতা করছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :