এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২৮ জুলাই প্রতিবেদনের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ।
[৩] গত ২৯ মার্চ রাতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ কল পেয়ে পুলিশ রাজধানীর তুরাগ থানার প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী ছাত্রী তাকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তুরাগ থানায় মামলা করেন।
[৪] মামলার অভিযোগে ওই ছাত্রী বলেন, ফেসবুকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। এক পর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোটবোন বলে সম্বোধন করেন। এরপর তার সঙ্গে ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো। গত ২৯ মার্চ ইফতারের পর গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের পাশে অ্যাপেক্স শোরুমের সামনে থাকতে বলেন।
[৫] সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় অ্যাপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করেন তিনি। এর ১০/১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসেন এবং রিকশায় উঠতে বলেন। বড় মনিরের কথামতো ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে রিকশায় ওঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানার প্রিয়াংকা সিটির ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় তাকে।
[৬] ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে ফোন দেন। তার বাবা ঘটনা শুনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
[৭] বড় মনির টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। আগের একটি ধর্ষণের মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বড় মনির। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :