সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- মো. আশরাফুল আলম, স্বপন ব্যানার্জী ও আ ন ম আব্দুল্লাহ। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, এনটিআরসিএ’র জাল সনদ ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা জাল সনদ তৈরির পর তা দিয়ে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় অবৈধভাবে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি করে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৪] অভিযোগ পেয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ গত ৪ জুলাই রাজধানীর বেইলি রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
[৫] গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস.এম. হাসান সিদ্দিকী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, একটি চক্র বি.এড সনদ জাল করে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
[৬] এছাড়া ২০১৬ সালে এনটিআরসি’র শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে নিয়োগ দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় অফিসারের সহযোগিতায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করে মোটা অংকের বিনিমিয়ে এমপিওভুক্তি করছে। এ বিষয়ে গত ২ জুলাই গোয়েন্দা কার্যালয়ে অভিযোগ করেন নয়ন মিয়া।
[৭] অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৮] গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিবি কর্মকর্তা হাসান সিদ্দিকী বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত ও প্রতারক চক্রের সদস্য। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় অফিসারের সহযোগিতায় জাল বি.এড সনদ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় নিয়োগসহ এমপিওভুক্তির কথা বলে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২