আনিস তপন: [২] বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে তা নির্ভর করছে এই প্রতিবেদনের উপর।
[৩.১] রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
[৩.২] বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ বিমান বাংলাদেশের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে।
[৩.৩] তিনি বলেন দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব যাচাই বাছাই শেষে যেটি ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
[৪] ফারুক খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত করা ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে কথা হয়েছে। এটা সরকারের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। এটা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং এটির গুরুত্ব অপরিসীম।
[৫] মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
[৬] রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলির আগ্রহ রয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এটি/এসবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :