খুররম জামান: [২] চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিলার লি ছিয়াং-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন। এই সফরকালে বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেয়া হবে। তবে কোনও চুক্তি সই হবে না।
[৩] পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত ও চীন প্রস্তাব দিয়েছে। যেহেতু তিস্তা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী তাই ভারতের প্রস্তাব আগে বিবেচনা করা হবে।
[৪] এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
[৫] শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট আজ সোমবার বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। একই দিন চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে ফ্লাইটটি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
[৬] আগামী ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ -চীন বাণিজ্য সম্ভাবণা শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনটিতে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।
[৭] ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাতে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
[৮] ১০ জুলাই সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
[৯] এরপর অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ হতে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন তার সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায়।
[১০] প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিং-এর সঙ্গে ১০ জুলাই বিকেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করবে।
[১১] ১১ জুলাই দুপুর ২টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :