শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০২:২০ দুপুর
আপডেট : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০২:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক রশি কামালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১১ আগস্ট

ফাইল ছবি

এম.এ. লতিফ: [২] রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ১১ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

[৩] পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সেলিম উদ্দিন ‘আমাদের নতুন সময়’কে জানান, গত ১৮ এপ্রিল অভিযুক্ত শিক্ষককে  গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

[৪] গত ২২ এপ্রিল ৪ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

[৫] অনলাইনে উত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে গত ১৮ এপ্রিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকা বাদী হয়ে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বাদীর একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ বাদীর বর্তমান বাসায় অবস্থানকালে আসামির ব্যক্তিগত ইমেইলে বাদীর প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল তার মেইল থেকে বাদীকে অনুরোধ করেন।

[৬] আসামি শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। আসামির অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাদী তার গবেষণাপত্রটি আসামির ইমেইলে পাঠিয়ে দেন। বাদীর গবেষণাপত্রটি আসামি পড়েন এবং তার খুব প্রশংসা করে একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য বাদীর সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন আসামি। তারপর বাদীর কাছে আসামি সিভি চাইলে বাদী তা দেন।

[৭] পরে আসামি তার রিসার্চ গেটের লিংক আসামির ইমেইল থেকে বাদীর ইমেইলে পাঠান। বাদী তার গবেষণাপত্রগুলো পড়ে বুঝতে পারেন, আসামির গবেষণা ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত, যা বাদীর গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিধায় বাদী আসামির সঙ্গে কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপরও আসামি বাদীর সঙ্গে স্কাইপ এ ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু বাদী ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি হননি।

[৮] এরপর গত ২৯ মার্চ রাত ১টা ৪ মিনিটে আসামি বাদীকে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। আসামি বাদীর হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেন এবং নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত অনুমান ১টা ৪ মিনিট থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বাদীর হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণের হুমকি দেন।

[৯] এ সময় বাদীর হোয়াটসঅ্যাপে আসামি পর্নো ছবি পাঠান। এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে আসামি বাদীকে গালিগালাজ করেন এবং নোংরা ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে বাদীর মান-সম্মান ও সামাজিক মর্যাদাহানি করবেন বলে হুমকি দেন।

[১০] মামলার এজহারে রশি কামালকে শান্ত মারিয়ামের শিক্ষক উল্লেখ করা হলেও শান্ত মারিয়াম কর্তৃপক্ষ দাবী করেছেন তিনি অনেক আগে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি শান্ত মারিয়ামের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত নেই। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

কে/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়