আনিস তপন: [২] উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাত হওয়াতে দেশের ১৫ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৩] শনিবার সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
[৪] সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।
[৫] কোনো কোনো জেলা আংশিক বন্যা কবলিত। বন্যার ফলে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
[৬] পানিবন্দি মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হচ্ছে, প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে এবং নতুন নতুন মানুষ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
[৭] বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
[৮] দুর্গত এলাকা সরকার কাজ করছে। ভবিষ্যতে বন্যা আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও সরকার অ্যাড্রেস করবে। আগামী আগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলও প্লাবিত হতে পারে।
[৯] প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠ প্রশাসনসহ সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী কিছু এলাকাতে দুর্গতরা খাদ্য পায়নি বলে দেখা যাচ্ছে। এসব জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আপনার মতামত লিখুন :