মোস্তাকিম স্বাধীন: [২] বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং নদী শাসন ব্যবস্থায় নির্মিত পদ্মা সেতুর কারিগরি দিক অনন্য। সেতু নির্মাণে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য ছিলেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক খান মাহমুদ আমানত । তিনি জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বের গভীরতম (১১২ মিটার পাইল) ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশ্বে অন্য কোনো সেতুতে নেই। ভূমিকম্পের ঝুঁকি এড়াতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেন্ডুলাম ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে।
[৩] এই সেতুর প্রতিটি স্প্যান ১৫০ মিটার লম্বা। ৩ হাজার ৬০০ টন উত্তোলন ক্ষমতার বৃহৎ ভাসমান ক্রেন ব্যবহার করে স্টিলের স্প্যানগুলো বসানো হয়েছে নদীতে।
[৪] পদ্মা সেতু তৈরির কারিগরি বিশেষত্বের আরেকটি দিক হলো, স্টিল ও কংক্রিটের মিশেলে স্প্যান স্থাপন। যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সেতু নির্মাণের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
[৫] আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে পদ্মা সেতুর নকশা ও নির্মাণকাজ করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ করলে এই সেতুর স্থায়ীত্ব ১০০বছরেরও বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
[৬] পদ্মা সেতুর কারণে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে অভূতপূর্ব সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ঢাকা থেকে খুলনা যাতায়াতের জন্য ১২ ঘণ্টার স্থলে এখন সময় লাগছে মাত্র ৪ ঘণ্টা ।
[৭] বিশেষজ্ঞরা জানান, এই সেতু নির্মাণের সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ছিলো নদী শাসন। পদ্মা নদী গত ৩০ বছরে একাধিকবার আড়াআড়ি প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। খরস্রোতা নদীটির স্বাভাবিক গভীরতা প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। খরস্রোতা নদীটির স্বাভাবিক গভীরতা ১৫ থেকে ২৫ মিটার- যা বর্ষায় সর্বোচ্চ ৬০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
[৮] পদ্মা সেতুর পুরো রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের এখন থেকেই সতর্ক পর্যবেক্ষণ থাকা উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। (সূত্র: ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, সমকাল ও সময়ের আলো)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :