ইমন হোসেন: [১] স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরো চিত্রই পাল্টে গেছে। সুন্দরবন ও কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে দেড়গুণেরও বেশি। বৃহত্তর বরিশাল ও খুলনা থেকে ঢাকার পথে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এসেছে বিলাসবহুল নতুন নতুন পরিবহন। পর্যটকরাও ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাচ্ছন্দে যেতে পারছেন কাক্সিক্ষত গন্তব্যে। সুন্দরবন, কুয়াকাটা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাতায়াত বেড়েছে বহুগুণ। (সময় টিভি)
[৩] ২০২২ সালের জুন মাসে যান চলাচলের জন্য খুলে যায় বহুকাক্সিক্ষত পদ্মাসেতুর দ্বার। গত দুই বছরে সুন্দরবন ভ্রমণে দেশি পর্যটক বেড়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। আর বিদেশি পর্যটক বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বেড়েছে পর্যটকবাহী বিলাসবহুল ভ্রমণতরীর সংখ্যাও। পর্যটন খাতে আসছে নতুন নতুন বিনিয়োগ। (বাংলা ট্রিবিউন)
[৪] বাংলাদেশের তিনটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের দুটি ষাট গম্বুজ মসজিদ ও ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সু›রবনের অবস্থান দক্ষিণাঞ্চলে। অপরটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার উত্তরাঞ্চলে। অতীতে দক্ষিণাঞ্চলের বিরক্তিকর যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে অনেক পর্যটক পছন্দের স্পটে যেতে পারতেন না। পদ্মাসেতুর ফলে চিরঅবহেলিত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাজুক দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগে ঘটে গেছে বিপ্লব। (একাত্তর টিভি)
[৫] পর্যটকরা জানান, যাতায়াতে ভোগান্তির কারণে বিরল সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা সৌন্দর্য্যরে তুলনায় আড়ালে পড়েছিলো। একই সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার দুর্লভ অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত ছিলেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক। এখন সমস্যা কেটে দিন বদলে গেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটকরা কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই সহজে ঘুরে আসতে পারেন তাদের পছন্দের জায়গাগুলোতে।
[৬] ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা’র (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পদ্মাসেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটকের আগমন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। পর্যটন ব্যবসার পরিধিও বেড়েছে দ্বিগুণ। সেই সাথে পর্যটনে বেড়েছে বিনিয়োগ। গড়ে উঠছে নতুন নতুন নানা অবকাঠামো। (শেয়ার বিজনেস)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :