কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া: [২] ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ট্রলারটি দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত সুবেদার সানোয়ার হোসেন।
[৩] তিনি জানান, শুক্রবার সকালে সমুদ্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ইঞ্জিল বিকল হওয়ার কারণে মিয়ানমারের ট্রলারটি ৩৩ জন নিয়ে দ্বীপে ভেসে এসে ভিড়েছিল। বিকালে ট্রলারটিসহ রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্যদের গন্তব্যের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
[৪] রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্যদের বরাতে মুজিবুর রহমান বলেন, তারা জানিয়েছেন- বৃহস্পতিবার বিকালে মিয়ানমারের মংডু শহর থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারটি রওনা হয়। মিয়ানমারের জলসীমায় থাকা দেশটির নৌবাহিনীর জাহাজে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। পরে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের সিটওয়ে শহরে যাওয়ার কথা। কিছুদূর আসার পর ট্রলারটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যেই প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের মুখে পড়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উত্তর ও পশ্চিম সৈকতে চলে আসে।
[৫] স্থানীয় সূত্র জানায়, সেন্টমার্টিনের উত্তর গুলাচ্চরে একটি ট্রলারে লাইটের সিগন্যাল দেখতে পায় দ্বীপের স্থানীয় জেলেরা। তারা বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের খবর দেন। সেন্টমার্টিন বিজিবি টহল টিম সেখানে গিয়ে সবাইকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও নাফ নদে অবস্থান জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :