সালেহ্ বিপ্লব: [২.১] শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়ে গেছেন, মাথা উঁচু করে চলতে হবে। তার চেতনাকে আমরা ধারণ করি। বাংলাদেশের জনগণের নিজের টাকার আমরা পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছি। সাধারণত কোনো প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান হয় না। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে আমরা এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
[২.২] প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই একটি মাত্র সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন অবস্থানে নিয়ে গেছে। যারা মনে করতো, তাদের সাহায্য ছাড়া আমরা চলতে পারবো না, সেই ধারণা পাল্টে গেছে।
[২.৩] শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এগিয়ে যাবো অপ্রতিরোধ্য গতিতে, কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দেশ গঠনের পথে এগিয়ে যাবো।
[৩] পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
[৪] ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নকে স্মরণীয় করে রাখতেই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
[৫] প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে সড়কপথে মাওয়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ তাকে স্বাগত জানান। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিলো, সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, সমাপনী অনুষ্ঠানের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকার ওপরে।
[৬] রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দেড় হাজার অতিথি আমন্ত্রণ পেয়েছেন সুধী সমাবেশে। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
[৭] অন্যান্য প্রকল্পের জনবলের মতো পদ্মা সেতুতে কাজ করা কর্মীদের বিদায় নিতে হচ্ছে না। সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে গঠন করা হচ্ছে সরকারি কোম্পানি। এতে নিয়োগ পেতে পারেন সদ্য সমাপ্ত প্রকল্পে কাজ করা ৫৯ কর্মী।
[৮] পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় বার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান শেষে টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন।
[৯] শনিবার বঙ্গবন্ধুর বাল্যশিক্ষার বিদ্যাপীঠ টুঙ্গিপাড়া জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখানে ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি শীর্ষক’ অ্যালবামের মোড়ক উম্মোচন করবেন। এরপর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।
[১০.১] আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।
[১০.২] গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর টুঙ্গিপাড়ায় আগমন উপলক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
[১১] জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
[১২] দুই দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :