সালেহ ইমরান: [২] ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের এই সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। অর্থনীতিতে রচিত হয়েছে এক যুগান্তকারী অধ্যায়।
[৩] বৈশ্বিক মহাচ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের মহাকারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে বিশ্বের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালীদের চোখরাঙ্গানি উপেক্ষা করে এতো বড় সেতু উপহার দিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বদলে গেছে বঞ্চিত জনপদের মানুষের ভাগ্য।
[৪] ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যানবাহন চলাচল শুরু হয় ২৬ জুন থেকে। এরপর দুই বছরে শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা। পরের বছর ২০২৩ সালে ১০ অক্টোবর চালু হয় পদ্মাসেতুর রেলপথ। চলতি বছরেই ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে ট্রান্স এশিয়া নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু।
[৫] বাংলাদেশে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতুতে দুই বছরে ১ কোটি ২৭ লাখ ১৩ হাজার ২৭৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতিদিনের গড় যান চলাচল ১৯ হাজার ১৬৮টি, প্রতিদিনের গড় টোল আদায় ২ কোটি ৩২ লাখ ১৪ হাজার ২২২টাকা। প্রথম বছর টোল আদায় ৮০১ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা, আর দ্বিতীয় বছর বেড়ে হয়েছে ৮৪৭ কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা।
[৬] সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন বলেন, সেতুর দুই পাড়ে আর্থ সামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। সড়ক ও রেলপথ ছাড়াও নদী দিয়ে হাই ভোল্টেজ গ্রিডলাইন স্থাপনের ফলে পায়রা ও রামপালের বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে রাজধানীতে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার চিত্রই পাল্টে গেছে।
[৭] পদ্মাসেতু ও ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এ পথে যাতায়াতের সময় অবিশ্বাস্য রকম কমে এসেছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ মাত্র দুই-আড়াই ঘন্টায় রাজধানীতে পৌঁছে অফিস-আদালত ও জরুরি কাজকর্ম করতে পারছেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যসামগ্রী দ্রুত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জেলাগুলোতে পৌঁছে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলানিউজ, সমকাল, বিডিনিউজ ও আলোকিত বাংলাদেশ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :