এম.এ. লতিফ: [২] বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
[৩] রোববার (২ জুন) একই আদালতে পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদী পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করবেন বলে আদালতকে অবহিত করেন। ১৩ জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে অধিকতর শুনানি ও নারাজি বিষয়ের জন্য নতুন তারিখ ৪ জুলাই ঠিক করেন আদালত।
[৪] এর আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্তে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলা থেকে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
[৫] গত ৩ মার্চ, ২০২৪ পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দরখাস্ত দাখিল করেন মামলার বাদী মো. সাইফুল ইসলাম। আদালত নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
[৬] মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজখবর নেয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলেও হুমকি দেন মুশতাক।
[৭] এজাহারে আরও বলা হয়, এ ধরনের আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগীর বাবা। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে আসামি মুশতাককে তার কক্ষে ডাকেন। পরে ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুশতাককে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
[৮] এ বিষয়ে বাদী ২ নম্বর আসামির (অধ্যক্ষ) কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করতে থাকেন। উপায় না পেয়ে বাদী গত ১২ জুন তার মেয়ে তিশাকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে তাকে অপহরণ করেন। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি মুশতাক একেক দিন একেক স্থানে রেখে তিশাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য এবং যৌন নিপীড়ন করছেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :