শিরোনাম
◈ গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে বিএনপির গঠনমূলক ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. আলী রীয়াজ ◈ জামায়াত আমির বললেন নির্বাচনের আগে তিন শর্ত পূরণ হতে হবে  ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিট বিভ্রান্তিকর, সংস্কার নিয়ে বিএনপি সিরিয়াস: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ ঢাকাসহ ১৫ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস ◈ পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা : আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ◈ বাংলাদেশকে নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করল ইইউ, কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয় ◈ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা অভিযোগ করেন, আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি: আদালতকে মেঘনা আলম ◈ আফগান নারীদের ক্রিকেটে ফেরাতে আইসিসি, বি‌সি‌সিআই, ই‌সি‌বি ও সিএ আ‌র্থিক সহায়তা দি‌বে ◈ উচ্চ বেতনের প্রলোভনে নারীদের পাচার: ঢাকায় সক্রিয় নারী পাচারকারী চক্রের ভয়ংকর সিন্ডিকেট ◈ চীনের পণ্যে ২৪৫% শুল্ক, ৩০ দূতাবাস বন্ধের ভাবনা—ট্রাম্পের ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ ঘিরে উত্তেজনা

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ১১:৩৫ দুপুর
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্যায় সিলেট বিভাগের ৮৮৯ বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত

সাজিয়া আক্তার: বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫ হাজার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৮৯টিতে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, সিলেট বিভাগের ৫ হাজার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের বেশির ভাগই এখনো পানির নিচে।

সিলেট বিভাগে মোট বন্যার্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন। বন্যার সময় গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৮২০ জন।

এর মধ্যে সিলেটে ১৬৪টি, সুনামগঞ্জে ৫৯টি, হবিগঞ্জে আটটি ও মৌলভীবাজারে ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে।

বন্যায় সিলেটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওর তীরের ভূকশিমইল, বাদে ভূকশিমইল, নওয়াগাঁও, রহমানিয়া, শাহমীর, উত্তর শশারকান্দি, শশারকান্দি, কালেশার, জাবদা, কাইরচক, মদনগৌরী, গৌঁড়করণ, মুক্তাজিপুর, কানেহাত, মনসুরগঞ্জ, চিলারকান্দি, আমতৈল, রাউৎগাঁও, গৌরিশংকর, আলমপুর, রহমত মিয়া, মীরশংকর, রাবেয়া আদর্শ, মুহিবুর রহমান, শংকরপুর, ছকাপন, গুপ্তগ্রাম ও ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের নিচতলায় হাঁটুপানি রয়েছে। বন্যার পানির মধ্যে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে বিদ্যালয়গুলো।

এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে কুলাউড়ার রাবেয়া আদর্শ, বশিরুল হোসেন, কুলাউড়া গ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।

আজ বৃহস্পতিবার গৌরকরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রন্টু রঞ্জন চন্দ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলের সামনের রাস্তা থেকে পানি নামছিল। এর আগেও দুই-তিনবার ক্লাসরুম পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু, টানা বৃষ্টির কারণে আবারও পানি উঠে গেছে এবং নিচতলা আবারও পানিতে তলিয়ে গেছে।'

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ে সিলেট বিভাগের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বলেন, 'আমরা প্রায় ২০টি নদী খননের পরিকল্পনা করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়