মাসুদ আলম, জামাল হোসেন: [২] হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার রহস্য উদঘাটনে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। তবে পরিকল্পনা ফাঁসের ৬ দিনেও রহস্যের জট খোলেনি।
[৩] এ ঘটনায় গত শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ব্যারিস্টার সুমন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন রাতে চুনারুঘাট থানার ওসির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, তাকে হত্যা করার জন্য চার থেকে পাঁচজনের অজ্ঞাতনামা একটি দল মাঠে নেমেছে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
[৪] বুধবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো আহাদ আলী বলেন, জিডির বিষয়টি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ তদন্ত করছে। পাশাপাশি আমরাও তদন্ত করছি।
[৫] চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, গত ২৭ জুন রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে তার কাছে ব্যারিস্টার সুমনের ফোন নম্বর চান। তখন ওসি ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান, কেন তার নম্বর প্রয়োজন? উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে জরুরি কথা বলতে চান তিনি। এ ফোন নম্বর না দিলে আত্মহত্যা করবেন। ওসি সংসদ সদস্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফোন নম্বরটি দেননি। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা পাঠান এবং পরে তা ডিলিট করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আবারও একটি খুদে বার্তা পাঠান ওই ব্যক্তি। তাতে লেখা ছিল, ব্যারিস্টার সুমনের কিছু শত্রু আছে, যারা তার ক্ষতি করতে পারে। এটিও পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়।
[৬] তিনি আরও বলেন, এ বার্তা পেয়ে তিনি কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। তিনি ব্যারিস্টার সুমনকে জানান। পরে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন নম্বরটি দেওয়া হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট কথা বলেন। খুব শিগগিরই পুলিশ এর রহস্য উদ্ঘাটন করবে।
[৭] বুধবার রাতে ব্যারিস্টার সুমনের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।
[৮] তবে ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমার সঙ্গে কথা বলে জানায়, কন্ট্রাক্ট কিলারদের কিছু সদস্য আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। এর পেছনে দেশের বড় বড় কিছু লোক জড়িত। এ কন্ট্রাক্ট কিলারদের মধ্যে ওই ব্যক্তিটিও ছিল। যখন সে আমার নাম শুনতে পায়, তখনই সে এ কন্ট্রাক্ট কিলিং থেকে সরে আসে। কারণ, ওই ব্যক্তি আমাকে পছন্দ করে ও আমার একজন ভক্ত। পাশাপাশি সে একজন সিলেটি। সে সিলেটি দরদি হয়েই এ গোপনীয়তা আমাকে জানাতেই ওসির কাছে ফোন নম্বরটি চেয়েছিল। এখন রহস্য রহস্য উদ্ঘাটন করা পুলিশের দায়িত্ব। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :