শিরোনাম
◈ পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ◈ সচিব সভায় সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিয়ে মতানৈক্য ◈ ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫ জন নিহত ◈ বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে: ওবায়দুল কাদের ◈ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় ◈ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবারও কৃচ্ছ সাধনের নীতিতে সরকার ◈ ওমান শিগগিরই বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্কিং ভিসা চালুর চেষ্টা করছে ◈ ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুশতাক-ফাওজিয়া ◈ সিলেট কাস্টমস কমিশনার এনামুল হকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ◈ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪২ রাত
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে সংসদে সমালোচনা

মনিরুল ইসলাম: [২] জাতীয় সংসদে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি,বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিরোধীদলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যরা। 

[৩] তারা বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। টিসিবি নামে একটা সংস্থা আছে যারা বাজারে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করে। উপজেলা পর্যায়ে দেখা গেছে একটা কার্ড দেওয়া হয়েছে, এটি দিয়ে পাঁচ-ছয়টা পণ্য কিনতে হবে। অনেক মানুষ এটা নিতে পারে না।  

[৪] তারা বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ না করায় সরকার বিপদের মধ্যে আছে। সকল সুফল ম্লান হয়ে যাচ্ছে। 

[৫] মঙ্গলবার  বিকালে  জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস  আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির এমপি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ,স্বতন্ত্র এমপি পংকজ নাথ ও হামিদুল হক খন্দকার।

[৬] বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম  টিটু বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। আলোচনায়  অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির  সংসদ সদস্য  হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন,  এ আইনটি না এনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনও আইন নিয়ে আসতেন, সিন্ডিকেট ভাঙার মতো কোনও আইন আনতেন তাহলে মনে করতাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভালো কোনও কাজ করছে। বিভিন্ন সময় তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। যখন তারা যান তখন বাজারটা ঠিক থাকে । কিন্তু তারা চলে এলে আবার যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় চলে যায়। দ্বিগুণ বাড়ে। সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলে আমার জানা নেই।

[৭] তিনি বলেন, ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা লাভ করে কোথায় নিয়ে যাবে জানি না। ওষুধ কোম্পানিগুলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে, কম শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল নিয়ে আসে।  ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মানুষ সুচিকিৎসা পেতো। আইন করে ক্যান্সারের ওষুধের দাম, কিডনি চিকিৎসা কমাবার কথা বলা হচ্ছে। এ কোম্পানিগুলো কি এর  বাইরের? এটা কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি? আমাদের দেশি মালিক। এদের কি বিবেক নেই। কত শতাংশ লাভ করতেছে? ১০০ শতাংশ লাভ করে। যারা দোকানে বিক্রি করে ৩০-৪০ শতাংশ কর দেয়। অনেক ওষুধের মধ্যে দাম লেখা থাকে না। সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন।  আওয়ামী লীগের এত উন্নয়ন ও অর্জনের পরেও বাজার নিয়ন্ত্রণ না করায় সরকার বিপদের মধ্যে আছে। 

 [৮] স্বতন্ত্র  সদস্য  পংকজ নাথ বলেন, বিলটিতে জনগণের স্বার্থ নেই। এখানে শুধু শব্দের পরিবর্তন। জনগণের স্বার্থ তখনই থাকতো যদি ট্যারিফ কমিশনের দায়িত্ব— ভোগ্য পণ্য, নিত্য পণ্যের দাম নির্ধারণ, বাজারে সহজলভ্যতা, আমদানি ও উৎপাদন সমন্বয় করে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়া। সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপণ্যকে সহজলভ্য করা। সেক্ষেত্রে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ট্যারিফ কমিশনের কাজ বাড়াতে।  যেখানে জনগণের স্বার্থ নেই, একটা মাত্র সচিবের পদ থেকে কর্মকর্তা এ শব্দের পরিবর্তন করার জন্য সংসদের সাড়ে তিনশ এমপিকে ডেকে এনে, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে শব্দ পরিবর্তন করা  অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।

[৯] হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়