এম.এ. লতিফ: [২] সোমবার (১ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৩ আদালতে রাজধানীর আদাবরের একটি হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় নিহতের ভাই রেজাউল করিম সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন।
[৩] আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
[৪] এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
[৫] ৩০ নভেম্বর, ২০২২ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
[৬] আসামিরা হলেন- আরিফ মাহমুদ জয়, মো. মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, মো. তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, মো. সজীব চৌধুরী, অসিম কুমার পাল, মো. লিটন আহম্মেদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না।
[৭] আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে এবং শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
[৮] আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।
[৯] ৯ নভেম্বর, ২০২০ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এএসপি আনিসুল করিমকে মানসিক সমস্যার কারনে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
[১০] ৮ মার্চ, ২০২২ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার ডা. নুশরাতের নাম অভিযোগপত্রে না আসায় আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পিবিআইকে পুনঃতদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :