শিরোনাম
◈ এআইআইবি ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে ◈ ৪৬১টি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ পরিবেশ এবং জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করবে কানাডা: পরিবেশমন্ত্রী  ◈ রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ ◈ খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, বাসায় ফিরতে আরো কদিন লাগবে  ◈ শব্দদূষণে নাকাল রাজধানীবাসী, আইনের কার্যকর প্রয়োগ নেই ◈ তিস্তাচুক্তির মূল প্রতিবন্ধকতা মমতা: ওবায়দুল কাদের ◈ দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কোনও কর্মকর্তা কর্মচারীর ছাড় নেই: মন্ত্রিপরিষদ সচিব ◈ বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে: প্রধানমন্ত্রী ◈ জুনে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২৪, ০৩:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী 

আনিস তপন: [২] ভিন্ন মত থাকা সমাজের একটা সৌন্দর্য, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু যেখানে একমত হতে হবে সেটি হচ্ছে, সত্য ও সঠিক তথ্য বলতে হবে। সত্য আগে স্বীকার করতে হবে। তার পর ভিন্ন মতামত দিতে হবে। তথ্যই যদি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে যদি একটা চিন্তা তৈরি করা হয়-এটা ভালো, ওটা খারাপ তাহলে সেটা সমাজে কারো মঙ্গল বয়ে আনবে না। কাজেই আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমরা তথ্যের জায়গায় সত্যতা নিশ্চিত করবো।

[৩] শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কনভেনশন হলে ‘পিস অ্যাম্বাসেডর’স জাতীয় সম্মেলন-২০২৪’ এ যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

[৪] দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর সহযোগিতায় এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস এর অংশীদারিত্বে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য যাচাই-বাছাই করা সবার দায়িত্ব। সত্য মেনে নেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলে, রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে তথ্য বিকৃত করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। আগে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমি যে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করি না কেনো, তথ্যের জায়গায় আমি নিশ্চিত করতে চাই আমার সত্যতা। সেই তথ্য, যেটা সত্য। সত্য কারো পক্ষে যাবে, কারো বিপক্ষে যাবে। সত্য যেদিকেই যাবে সেটা মেনে নিতে হবে। 

[৬] কিন্তু এই সমাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনেক জায়গায় অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হয়। শুধু আমার রাজনৈতিক চিন্তার পক্ষে গেছে বা যে লোকটিকে আমি রাজনৈতিকভাবে অপছন্দ করি তার বিপক্ষে গেছে এজন্য যতই মিথ্যা হোক সেটা আমি আরো দশ জনকে প্রচার করি। এটি ন্যায়সঙ্গত নয়।

[৭] বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এমন কিছু ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে গেছে ও ঘটানো হয়েছে, যে কারণে বাংলাদেশের রাজনীতি আজ দাঁড়িয়ে আছে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের ওপরে। বাংলাদেশের ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর মতো ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের রক্তের ইতিহাস আছে। তার ওপর দিয়ে বিভক্তি ও দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হওয়ার অনেক কারণ আছে। যা সবাইকে পেছনে নিয়ে যাবে। 

[৮] রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা প্রয়োজন, ভিন্ন মত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা হবে ইতিবাচক, নেতিবাচক নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে পরিণত হয় যখন নেতিবাচকতা চলে আসে। নিজের সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে, নিজের শ্রম, মেধা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন প্রতিটি ব্যক্তি পর্যায়ে, দলগত এবং গোষ্ঠী পর্যায়ে।

[৯] বাংলাদেশের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের জন্ম এবং আজ এ দেশের এগিয়ে যাওয়া। সেই মূল জায়গায় কোন আপোষ চলবে না। বাংলাদেশের জন্ম যেখানে, যে চেতনা ধরে, সেখানে কোন আপোষ চলবে না। তার বাইরে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের গোড়ায় গিয়ে সকল দল-মত নির্বিশেষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। 

[১০] মুক্তিযুদ্ধবিরোধী যে অপশক্তি, মৌলবাদী যে অপশক্তি, সেই ধরণের উগ্রবাদী কোনো অপশক্তিকে গণতান্ত্রিক পরিবেশে কোনো জায়গা দিতে চাই না। কারণ তারা গণতন্ত্রকে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এবং শান্তিকে বিনষ্ট করে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপশক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

[১১] আগামী দিনে পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে দেখিয়ে দিতে পারবো যে, এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, মতবিরোধ আছে, ভিন্ন মত আছে, কিন্তু শান্তিও প্রতিষ্ঠিত আছে। ভিন্ন মত, তর্ক-বিতর্ক সবকিছু থাকবে। আমারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি তর্কের যুদ্ধ, কথার যুদ্ধ করবো। ভিন্ন মতের জায়গা থাকবে, কিন্তু কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সহিংসতায় জড়ানো ঠিক হবে না। এগুলো থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এটি/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়