শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৪, ১২:০০ রাত
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২৪, ০৭:০৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্যের কথা বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে 

খুররম জামান: [২] বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হলেও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ধর্মীয় বৈষম্য। বলা হয়েছে, সব ধর্মের মানুষের জন্য সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা। দেশটিতে বিভিন্ন ধর্মের জন্য রয়েছে আলাদা পারিবারিক আইন। সারাবিশ্বের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর প্রতিবেদনটি পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

[৩] আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, আহমেদনগরে গত বছরের (২০২৩) মার্চে তাদের বার্ষিক সম্মেলনে শত শত লোক হামলা চালান।

[৪] ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা অব্যাহতভাবে বলেছেন, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারণে’ ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, বিশেষ করে হিন্দুধর্মের লোকজনকে নিশানা করে সরকার প্রায়ই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনের প্রয়োগ করেছে।

[৫] মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বলেন, সরকার মসজিদে ইমাম নিয়োগ ও অপসারণে প্রভাব খাটিয়ে গেছে। দেশজুড়ে ইমামেরা তাদের খুতবায় কোন বিষয়বস্তু তুলে ধরবেন, এ বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সব মসজিদের ইমামই সাধারণত সরকারি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক খুতবা এড়িয়ে চলেন।

[৬] গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় সরকারের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন কার্যকর করা, সরকারি চাকরিতে তাঁদের জন্য কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন দাবিতে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

[৭] বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে এক নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের ফতোয়া দেওয়ায় গত বছরের এপ্রিলে একজন ইসলামি-বিশেষজ্ঞ ও তিনজন গ্রামপ্রধানের বিরুদ্ধে আইনভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। দেশে সহিংসতার ঘটনার ওপর নজরদারি করা সংগঠনগুলোর একটির হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ২২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছেন।

[৮] মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন (এনজিও) ও কয়েকজন ধর্মীয় নেতা ইসলাম ও হিন্দুধর্ম থেকে খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের হয়রানি, সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন।

[৯] ২০২৩ সালের দুর্গাপূজা সামনে রেখে সরকার অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন, ধর্মীয় সম্প্রীতি উৎসাহিত করতে আন্তধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। সেবারের উৎসবে কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

[১০] জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ হাজার হাজার মসজিদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত হয়। এ ফাউন্ডেশন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন। এসব মসজিদের ইমাম ও কর্মীর বেতন হয় সরকারি অর্থায়নে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এসব মসজিদের দেখভাল করে না; তা করে পরিচালনা কমিটিগুলো। এসব কমিটির নিয়ন্ত্রণে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসকেরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়