শিরোনাম
◈ যৌথবাহিনীর অভিযান: ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪ ◈ আমেরিকায় একান্ত বৈঠক হবে না মোদী-ইউনূসের : আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাই ◈ ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০ ◈ কমিশন থেকে সরে গেলেও যুক্ত থাকবেন শাহদীন মালিক ! ◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২২, ০১:৩১ রাত
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২২, ০২:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক পাসওয়ার্ডেই আটকে আছে ইভ্যালির সব টাকা!

ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট: সার্ভারের এক পাসওয়ার্ডেই আটকে আছে ইভ্যালির গ্রাহকদের সব অর্থ। বারবার ধরনা দিয়েও ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সময় অনলাইন

শুক্রবার (১ জুলাই) ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির অডিটের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘শুধু একটি সার্ভারের পাসওয়ার্ডের অভাবে ইভ্যালির গ্রাহক ও মার্চেন্টদের অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়টি আটকে আছে। আপাতদৃষ্টিতে এই পাসওয়ার্ডটি পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় নেই। শুধু ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলই পাসওয়ার্ডটি জানতেন। কিন্তু তিনি তা ভুলে গেছেন বলে দাবি করছেন। এই সার্ভারটি এমন যে এটুআই ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও পাসওয়ার্ড বের করতে বা সার্ভারটিতে ঢুকতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অ্যামাজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারে আমাদের সহযোগিতা করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এ কাজটি করতে আসল অ্যাকাউন্টধারীকে প্রয়োজন হবে। আমি জেলে রাসেলের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, তিনি পাসওয়ার্ড মনে করতে পারছেন না। তার ডেস্কে রাখা একটি কালো ডায়েরিতে পাসওয়ার্ড লেখা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু আমরা এমন কোনো ডায়েরি পাইনি।’

ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জানান, মূল সার্ভার সচল না হলে গেটওয়েতে থাকা ২৫ কোটি টাকা ছাড় করবে না ব্যাংকগুলো। পাওনাদারদের তথ্য না পাওয়ায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য থাকলেও তা দেয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া ব্যাংকে যে টাকা আছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা মেটানো সম্ভব নয়। 

চলতি মাসের শেষ নাগাদ ইভ্যালির অডিটের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলেও তিনি জানান। তবে সার্ভার সচল না থাকায় অডিটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছে পরিচালনা পর্ষদ। 

লোভনীয় অফারের টোপ দিয়ে গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের দায়ে গেল বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় ইভ্যালির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে।

এরপর গ্রাহকদের অর্থ ফেরত ও কোম্পানির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একই বছরের ১৮ অক্টোবর একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ইভ্যালি বোর্ড গঠন করে দেন উচ্চ আদালত। যারা ইভ্যালির দায়-দেনা ও সম্পদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতের সামনে উপস্থাপন করবে।

বোর্ড গঠনের প্রায় আট মাস পর শুক্রবার অডিটসহ সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসে পরিচালনা পর্ষদ। জানানো হয়, পণ্য ও পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকা অর্থ মিলিয়ে মোট ৫০ কোটি টাকা রয়েছে ইভ্যালির। সার্ভার বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত দেয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়