মাসুদ আলম: [২] ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার রহস্য ও খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারে একসঙ্গে কাজ করছে কলকাতা সিআইডি ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবারও কলকাতার সঞ্জিবা গার্ডেনের সেফটি ট্যাংক, কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খাল, রাজারহাট খড়িবাড়িসহ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। তার মোবাইল ফোন ও জামাকাপড়ের এখনো সন্ধান মেলেনি।
[৩] মঙ্গলবার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় চার কেজিরও বেশি মাংসখণ্ড, চুল ও হাড়ের গুঁড়া। সেগুলো আনারের কি-না, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আজ এমপি কন্যা ডরিন কলকাতায় যেতে পারেন।
[৩] আজ দেশে ফিরছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ডিবির প্রতিনিধি দল।
[৪] কলকাতা সিআইডি হেফাজতে থাকা কসাই জিহাদের তথ্যের ভিত্তিতে আনারের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তার মৃতদেহ কিমা করে ৫০ থেকে ১০০ গ্রামের প্যাকটে করে জিহাদ। তার মাথার সন্ধানে রাজারহাট খড়িবাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া অনেক অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছে জিহাদ।
[৫] ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, বন্ধু হিসেবে আনারের ভারত এবং বাংলাদেশে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এমনকি শত্রু সম্পর্কেও ভালো জানাশোনা গোপাল বিশ্বাসের। তদন্ত শুরুর পর থেকে প্রয়োজনে সাড়া দিচ্ছেন গোপাল। তাই তাকে আটক বা হেফাজতে নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি পুলিশ। যদিও মৌখিকভাবে তাকে এলাকা ছাড়তে নিষেধ করে পুলিশ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :