বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] বছরের মধ্যবর্তী সময়ের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইকনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৪ সালে বাংলাদেশের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৫.৬% করা হল।
[৩] আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি হ্রাসের কারণ হিসেবে দেখিয়ে চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে অনেক সংস্থা। এ বার বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো জাতীসংঘ।
[৪] অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশেষ করে বিশ্ব অর্থনীতির বাণিজ্য এবং তেলের দাম ঘিরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানিখাত ভুগবে। একই সঙ্গে আভন্ত্যরীণ উৎপাদন হ্রাস ও মূল্যস্ফীতির কারণে আর্থিক বৃদ্ধি কমে যাবে।
[৫] ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১ শতাংশ। ২৩এ এটি কমে ৬.০ হয়। ২০২৪ সালে কমে ৫.৬ শতাংশ হয়। ২০২৫ সালেও এর খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
[৬] এই সময়ে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় মূল্যস্ফীতি হয়েই থাকেবে। ২০২২ সালে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এটি বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৯.৬। ২০২৪ সালে এটি ৮.৫ হবে। ২০২৫ সালে হবে ৬.৮ শতাংশ।
[৭] দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে ভারতের একই সময়ে মূল্যস্ফীতিও থাকবে সবার নীচে। ভারতের প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালে হবে৬.৮ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি থাকবে ৪.৫ শতাংশ।
[৮] এই সময়ে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি গবে ২.১ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি থাকবে ২৩ শতাংশ। নেপালের প্রবৃদ্ধি হবে ৪.১ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতি হবে ৬.২ শতাংশ।
[৯] জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও চাহিদার উন্নতি না হওয়ায় পণ্য রফতানি ঘিরে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির জেরে ভুগতে পারে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি। বাংলাদেশ যার বাইরে নয়।
আপনার মতামত লিখুন :