আদালত প্রতিবেদক: [২] টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে একুশ বছর আগে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
[৩] ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
[৪] দণ্ডিতরা হলেন- বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগের আনোয়ার হোসেন আনু, শরীয়তপুরের পালং থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম এবং শেরপুরের বলদিয়ার চরের আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।
[৫] রায়ের সময় আনু ও বোরহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সাজা পরওয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরওয়ানা সহ গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী করা হয়।
[৬] মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা এলাকার পূর্ব খিল বাড়ির টেক এর সুতিভুলা খালের পাশে কচুরিপানা ভর্তি একটি ডোবা থেকে ৩০/৩৫ বছরের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বেশ কিছুদিন আগে পুকুরে ফেলায় মরদেহটি পচে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় লোকজনও তখন এটি শনাক্ত করতে কিংবা পুলিশকে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
[৭] মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন এসআই আবু বকর মাতুব্বর। তদন্তের এক পর্যায়ে টাঙ্গাইলের এক নারী নিহত ওই ব্যক্তিকে তার স্বামী সুরুজ মিয়া হিসেবে শনাক্ত করেন।
[৮] পুলিশ আনু ও বোরহানকে গ্রেপ্তার করলে বোরহান ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়। সেখানে আব্দুল্লাহর নাম আসে।
[৯] পরে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেখানে বলা হয়, টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে সুরুজ মিয়াকে খুন করে বস্তায় মরদেহ ভরে ডোবায় ফেলে দেয় আসামিরা।
[১০] আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি শওকত আলম।
[১১] দণ্ডিতদের অন্যতম আইনজীবী মুহা. মাহবুবুর রহমান সুজন জানান, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :