শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২২, ০৭:৫৭ বিকাল
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২২, ০৯:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে আয়োজিত সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী

বাজেটে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

এম এ মান্নান

মিনহাজুল আবেদীন: প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এটি কেবল মাত্র খসড়া বাজেট। বাজেট নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। তারপর এটি সংসদে পাস হবে। রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট এবং অর্থনৈতিক গতিধারা’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাজেটের নানামুখী বিশ্লেষণের লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করে সিজিএস। সেমিনারে বক্তারা বাজেটে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রতি জোর দেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারপারসন ও অর্থনীতিবিদ ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

আলোচনায় আরও অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশ চালাতে সুশাসন অবশ্যই দরকার। তবে সবার আগে প্রয়োজন সাধারণ জনগণের চাহিদাকে মূল্যায়ন করা। সুশাসনের রাস্তা অনেক দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি কেউ যেতে পারে না। পৃথিবীর বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশগুলোও বহু বছরের অপেক্ষার পর সুশাসন অর্জন করতে পেরেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন বিএনপির হরতাল দেয়ার সাহস নেই। কারণ জনগণই তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এই পদ্মা সেতুর সঙ্গে জনগণের স্বপ্ন এবং অভিলাষ জড়িয়ে আছে।  শেখ হাসিনার শাসনামলে ১৫ বছর ধরে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ সরকারই দেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। মহামারির সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল বাংলাদেশের। এমনকি ভারত এবং চীনের চেয়েও এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের ফলাফল তুলে ধরে বলেন, পরিসংখ্যান সক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের স্কোর ৬০, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। বর্তমান সরকারকে তিনি কর্তৃত্বপরায়ণ এবং অনির্বাচিত সরকার দাবি করে বলেন, একটি রাষ্ট্রে যখন রাজনীতিকরণ অর্থনীতিকে গ্রাস করে ফেলে তখনই সরকার কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে যায়। এতে জনগণের কথা বলার সুযোগ থাকে না।

বাজেটের কথা উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, বাজেটে সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি জনসেবামূলক খাতগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এই খাতগুলো এখন অবহেলিত।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, কার্যকরী গণতন্ত্রের জন্য জনপরিসরে অর্থনৈতিক আলোচনা বাঞ্ছনীয়। তিনি ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করেন, মূল্যস্থীতিকে কেবল মাত্র সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে জনগণের জীবন-যাত্রার ব্যয়ের প্রসঙ্গও জড়িত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তাজউদ্দীন আহমেদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন, যার মধ্যে ৬০০ কোটি টাকা ছিল উন্নয়ন ব্যয় এবং ১৮৬ কোটি টাকা ছিল পরিচালন ব্যয়।

তিনি বলেন, বর্তমান বাজেটে আমরা ঠিক এর বিপরীত চিত্র দেখতে পাই। প্রাক-কোভিডকালে দেশের কর্মসংস্থান ঋণাত্মক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ফলে কোভিডকালে এবং কোভিডের পর দেশে নতুন করে দারিদ্র্য যুক্ত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা, তারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন না। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়