মহসীন কবির: [২] শিক্ষাবিদ, লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
[৩] এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বন্ধু সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, ভাই এনামুল হাসান ও মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের নেতা ফজলুল হককে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
[৪] আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলার ৬২ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে গত ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এরপর গত ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন। যুক্তিতর্কের শেষ তারিখে বাকি ৫ আসামির জামিন স্থগিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সব আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
[৫] ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডসংলগ্ন মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে বসা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে মো. ফয়জুল হাসান নামে এক তরুণ।হামলাকারী ফয়জুলকে তখনই আটক করেন উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা। তারপর তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৬] এদিকে গুরুতর আহত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :