শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দিয়েছিলেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

এবার বের হয়েছে টিউলিপের বোন আজমিনার নামে উপহার পাওয়া আরেক ফ্ল্যাটের সন্ধান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর একের পর এক সামনে আসছে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সম্পদের খবর। শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য বৃটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দেয়া বাড়ির সন্ধানের পর এবার বের হয়েছে তারই ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তির নামে উপহার দেয়া আরেক ফ্ল্যাটের সন্ধান। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী তাকে ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন।

এর আগে লন্ডনের কিংসক্রস এলাকায় টিউলিপকে একটি ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আরেক ঘনিষ্ঠজন আবদুল মোতালিফ। বৃটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথিপত্রের বরাতে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের পর এবার দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। গণমাধ্যমটি বলছে, নতুন করে সন্ধ্যান পাওয়া এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে সরাসরি দেয়া হয়নি। এটি দেয়া হয়েছিল তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে।

আজমিনার বয়স যখন ১৮ বছর এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে চলেছেন তখন উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে  আজমিনাকে ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। যিনি হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঈন গনির একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২০০৯ সালে আজমিনার নামে ফ্ল্যাটটি হস্তান্তর করেছিলেন। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, আজমিনার কাছে ফ্ল্যাটের আর্থিক মূল্যের কোনো রেকর্ড নেই। কিন্তু একসময় ঐ ফ্ল্যাটটিতে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস শুরু করেন। টিউলিপ ঠিক কখন ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালে ডিসেম্বরের পরে তিনি যখন ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিয়োগে পেয়েছিলেন তখন কোম্পানি হাউসে তার ঠিকানা হিসেবে ঐ ফ্ল্যাটটির ঠিকানা তালিকাভুক্ত করেছিলেন।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ২০১৪ সালের মার্চে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস এবং ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট, আরেকটি অলাভজনক ট্রাস্টি হওয়ার ক্ষেত্রেও এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন টিউলিপ। তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও মে, ২০১৬ সালের শেষের দিকে এটিকে তার ঠিকানা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। সেই সময় পর্যন্ত সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে আজমিনা ২০২১ সালে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বাসস্থান বিক্রি করেছেন।

আজমিনার এই ফ্ল্যাটটির বিষয়ে টিউলিপ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে, তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের সম্পত্তিতে বসবাস করেছিলেন। সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়