শেখ সেকেন্দার আলী : [২] মালয়েশিয়ায় ঈদের সকালে বাংলাদেশীকে লাশ হতে হলো আরেক বাংলাদেশির হাতে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৭ বাংলাদেশীকে আটক করে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে মুল সন্দেহ ভাজন পালিয়ে গেছে।
[৩] নিহত বাংলাদেশীর শরীরে পাঁচটি ছুরিকাঘাতের ক্ষত পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাস্থলে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে পেরাকের সিটিওয়ান এলাকায়।
[৪] মানজুং জেলা পুলিশের সহকারী কমিশনার নর ওমর সাপ্পি বলেছেন, সকাল ৫ টার দিকে একটি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায় ৩৯ বছর বয়সি একজন বাংলাদেশীর মরদেহ পড়ে আছে। নিহত ব্যাক্তি বাংলাদেশী একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ও হত্যাকারী একই কারখানায় কর্মরত ছিলেন। যে হত্যাকাণ্ড টি ঘটিয়েছে তার বয়স ২৬ বছর। তবে পুলিশ হত্যার শিকার বাংলাদেশী ও হত্যা কান্ডে জড়িতের নাম প্রকাশ করেনি। মূল সন্দেহভাজন পালিয়ে গেছে এবং তদন্তে সহায়তা করার জন্য সাত বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে।
[৬] সহকারী পুলিশ সুপার ওমর বলেন, ঘটনার কারণ ও উদ্দেশ্য এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইপোহ রাজা পারমাইসুরি বাইনুন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[৭] ইতিমধ্যেই দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সাধারণ মানুষকে তদন্তে সহায়তা করার জন্য ০১২৫০৭৭০২৬ মোবাইল নাম্বার যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। সম্পাদনা : সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :